14th Oct 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানো হয় কেন জানেন?

17th Sep 2024

প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিনিধি


বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দুর্গাপুজোর মরশুমের শুরু। উৎসবের শুরু। কিন্তু এর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর কি সম্পর্ক, জানেন? 

১৮৫৬ সালে লখনৌ শহরের রাজত্ব খুইয়ে, ইংরেজদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ওয়াজেদ আলি শাহ এসে পড়েছিলেন কলকাতায়। কলকাতার বিচালি ঘাটে এসে নামেন তিনি। এর পরে তিনি মেটিয়াবুরুজ এলাকায় গড়ে তোলেন তাঁর নবাববাড়ি। লখনৌর স্মৃতি, ঠাঁটবাটও ছাড়তে পারলেন না। নবাবি খাবার থেকে, সংস্কৃতি হয়ে বিরিয়ানি, বাইজি, পাখির লড়াই, এমনকি ঘুড়ির লড়াই পাড়ি দিল কলকাতায়।

এগুলো শুধু এল যে তাই নয়, কলকাতা এগুলোকে রীতিমত আপন করে নিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু বছর ধরেই ঘুড়ি ওড়ানোর চল ছিল। কিন্তু ওয়াজেদ আলি শাহ কলকাতায় এসে পৌঁছোনোর আগে এখানে সেভাবে ঘুড়ি ওড়ানোর চল ছিল না। এবার সেই সংস্কৃতিও এসে পড়ল কলকাতায়। এখানকার আকাশে ঘুড়ি জায়গা করে নিল ওয়াজেদ আলি শাহের হাত ধরেই।

 সেই সময়ে কলকাতার আকাশে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ির দেখা মিলত। কানকাওয়া, চং, তুলকুল নামের ঘুড়ি ছিল খুব জনপ্রিয়। এই ঘুড়িগুলো বানানো যেমন কষ্টসাধ্য ছিল। এগুলি তেমনই ছিল খরচসাপেক্ষ। পেশাদার ঘুড়ি উড়িয়েদের জন্য সুবর্ণযুগ ছিল সেই সময়টা।পাশাপাশি কলকাতায় তখন মাথাচাড়া দিচ্ছিল বাবু কালচার।

তাঁরাও ফুর্তি করার জন্য, নিজেদের প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামতেন। ঘুড়ির গায়ে লাগানো হতো হরেক রকমের টাকা, কখনও পাঁচ, কখনও বা দশ কখনও বা তারও বেশি!

ঘুড়ির সঙ্গে টাকা ওড়ানোর এই রীতি বাবুয়ানায় এক নতুন মাত্রা যোগ করল। তাঁরা সেই সময় মাঞ্জা দিয়েই ঘুড়ি ওড়াতেন। ফলে বর্তমান সময়ের ঘুড়িও নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের দেওয়া।যদিও এত বছর পর কলকাতার অনেক অভ্যাস পাল্টেছে। বদলেছে চেহারাও। তবুও কিছু জিনিস আজও এক থেকে গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল এই ঘুড়ি ওড়ানো।

Archive

Most Popular