12th Sep 2024
ভ্রমণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
त्वत्तो जगद्भवति देव भव स्मरारे, त्वय्येव तिष्ठति जगन्मृड विश्वनाथ।
त्वय्येव गच्छति लयं जगदेतदीश,
लिंगात्मकं हर चराचरविश्वरूपिन्।
উজ্জয়িনীতে বিখ্যাত মহাকাল মন্দিরের তৃতীয় তলায় স্থিত নাগচন্দ্রেশ্বরের মন্দির শ্রাবণের শুক্লা পঞ্চমী যা নাগ পঞ্চমী বলে সেদিন কেবল মাত্র খোলা হয়। কথিত যে এই মন্দিরে স্বয়ং সর্পরাজ তক্ষক বাস করেন। জানা যায় আনুমানিক ১০৫০ইংরেজীতে রাজা ভোজ এই মন্দির তৈরী করেন এবং এই মন্দিরের প্রতিমা সুদূর নেপাল থেকে আনা হয় বলে শোনা যায়!
এরপর ১৭৩২ সালে মহারাজ রাণোজী সিন্ধিয়া এই মন্দিরের পুণঃ সংস্করণ করেন। সাধারণতঃ নাগশয্যায় লক্ষ্মী নারায়ণ কে বিরাজিত দেখা যায় কিন্তু এখানে শিবও পার্বতীকে নাগ শয্যায় বিরাজিত ভাবে দেখা যায়। উজ্জয়িনী ছাড়া বিশ্বে অন্য কোথাও এমন প্রতিমা দেখা যায় না। এখানে শিব, পার্বতীর প্রতিমা ছাড়াও গণেশ ও দশ মুখ বিশিষ্ট নাগের প্রতিমাও দেখা যায়। এখানে শিবের গলায় ও হাতে সাপ পেঁচানো দেখা যায়।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে সর্পরাজ তক্ষক শিবকে তুষ্ট করার জন্যে কঠোর তপস্যা শুরু করেন, তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ঠ হয়ে দেবাদিদেব মহাদেব তক্ষকরাজকে অমরত্ব বরদান করেন। শিবের বর পেয়ে তক্ষক রাজ এই বনেই শিবের সান্নিধ্যে বাস করতে থাকেন কিন্তু তাঁর আশঙ্খা ছিল যে এখানে থাকলে তাঁর একান্ত সাধনায় না বিঘ্ন ঘটে তাই এই মন্দির শুধু একদিনই খোলা হয়, আর সেইদিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দির দর্শনের জন্যে। কথিত এই মন্দির একবার দর্শন করলে সেই ভক্তের সর্পভয় দূর হয় আর সর্পাঘাতে মৃত্যু ও হয় না।
নাগপঞ্চমী উৎসবে ভগবান শ্রী নাগচন্দ্রেশ্বরের ত্রিকাল পুজো করা হয়। মাঝরাতে দরজা খোলার পর মহন্ত পুজো করা হয়। এরপর দুপুর ১২টা নাগাদ ফের একবার পুজো করা হয়। তারপর নাগপঞ্চমীর রাত বারোটায় মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় এই বিশেষ মন্দিরের দরজা। নাগপঞ্চমীর দিন অনন্ত, বাসুকি, পদ্ম, মহাপদ্ম, তক্ষক, কুলির, কর্কট, শঙ্খ, কালিয়া এবং পিঙ্গল নামের নাগদেবতার পুজো করা হয়। পুজোতে হলুদ, চাল এবং ফুল চড়ানো হয়। কাঁচা দুধে ঘি এবং চিনি মিলিয়ে নাগ দেবতাকে অর্পণ করা হয়।