কি ব্যাপার সকাল সকাল কোথায় চললে, গিন্নির মুখে এরকম মুখ ঝামটা খেয়ে প্রবীর বাবু কিছুটা ঘাবড়ে গেলেন তার পর নিজেকে কোনও মতে সামলে নিয়ে একটু নিচু স্বরে বললেন অফিসে যাচ্ছি।

- অফ�

জায়গাটি ভারী সুন্দর। এখনও গ্রামের পরিবেশ বিদ্যমান।

বিজলিবাতি দু চারটে বাড়িতে থাকলেও সবাই নিয়ে উঠতো। পারেননি। গ্রামের পাশ দিয়ে তিরতির করে বয়ে চলেছে ছোট্ট একটি নদী। হালক�

এত দিন পর এলি বল তো বাবা!

তা প্রায় পনেরো বছর!

এত দিন পর মাসিমাকে মনে পড়ল তোর?

অভিনিবেশ চুপ করে রইল। কোন ভোরবেলা বেরিয়েছে বাড়ি থেকে। ভোরই বা কোথায়, তখন তো রাতের অন্ধকার। লা�

জীবনের কিছু ঘটনা অলক্ষ্যে কোথাও তৈরি হতে থাকে যার মধ্যে মানুষের কোনও হাত থাকে না। যা কোনও দিন ঘটার কথা ছিল না সেরকমই এক অভিনব ঘটনার মুখোমুখি হঠাৎ এক আন্তরিক সকালে। কাছাকছি এ�

আজ সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ছিল। একের সঙ্গে অন্যের তান্ডবে কেমন এক বিপর্যস্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। ঝোড়ো হাওয়াকে কেন যেন ভয় পায় অনির্বাণ। আসলে ছোটবেলার একটা স্মৃ

খানিকটা ডিমেনশিয়া হয়েছে মায়ের, কালকের কথা ভুলে যায় আবার পঞ্চাশ বছরের কথা গড়গড় করে বলে যায়, সময়-সময়... সেদিন গুনগুন করছিল একটা গান সুরটা চেনা ঠেকতে কাছে গিয়ে কান পেতেছি দেখি, যব �

ডাঃ সুস্মিতা সর্বেশ্বরের রায়ের ডান ক্রর ভিতরের দিকের কপালের অংশে চাপ দিয়ে পেইন রেসপন্স দেখলেন। কোন সাড় নেই, হাত বা পায়ের আঙুলে সামান্য ফ্লিকারও হল না।

ভাই কামেশ্বরের মৃত�

আমি কোনওদিন শুনিনি ভূতেরা কোনওদিন কোনও বোরোলি মাছওয়ালার পিছু নিয়েছেন। এক সাহিত্যিক শেখর বসুর একটি ছোট গল্পে পড়েছিলাম ভূতেরা চাউমিন ভালবাসে। গ্রামেগঞ্জে তো এখনও মেছোভূত প

বয়েসকালে নিহিতা সুন্দরী ছিল না। বয়েসকাল মানে? মানে যৌবন। যে বয়সে নারী নারী থাকে। নিহিতার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। সে সুন্দরী হয়ে উঠেছিল মেনোপজের পর থেকে। এমনিতে সে

ভোরে নেমেছিলাম মধুগঞ্জে। এখান থেকে মাইল দেড় অশ্রুনদী। অশ্রুনদীর ওপারে,  উত্তর-পশ্চিমে  একটি পাহাড় আছে।  ঘুমপাহাড়। পুরাকালে পাহাড় হেঁটে বেড়াত। হাঁটতে হাঁটতে এই অশ্রুন�

আকাশের নীলের বুকে রোজই কিছু ছবি এঁকে যায় অলস মেঘের দল, সেই ছবি প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে দেখা তন্ময়ের ছোটোবেলার অভ্যাস। খণ্ড-খণ্ড সাদা মেঘ জমে থাকে এখানে-ওখানে। কোনওটা দেখতে একটা

স্নেহ অতি বিষম বস্তু। রুপু অত মাখন খেয়ো না। না। না মাসিমা- রুপু আধ আঙুল মে জিভ বের করে ফেলে। বিয়ের আগে রুপু রণর মাকে মাসিমা বলত। খুব উত্তেজিত হয়ে পড়লে এখনও মাঝে মাঝে মাসিমা ব�

এর আগে কয়েকবার অলোকা চোরের মতো মুখ চুন করে এবাড়িতে ঢুকেছে। কখনো বলেছে, জানেন কাকু, গতকাল রাতে একদম ঘুম হল না। আমার বাড়ির পাশের নয়নচূড় বেলগাছ থেকে সমানে কারও কান্নার আওয়াজ শুন�

আমরা পাগলটাকে চিনতাম। মধু পাগলাকে। কোনেও অপরাধীকে আমি একটু বেশিই চিনতাম। কারণ সে ছিল আমার ছড়া কিংবা শ্লোক শেখা বিদ্যার গুরু। ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মধু পাগলা যখন গাঁয়ের

আমরা পাগলটাকে চিনতাম। মধু পাগলাকে। কোনেও অপরাধীকে আমি একটু বেশিই চিনতাম। কারণ সে ছিল আমার ছড়া কিংবা শ্লোক শেখা বিদ্যার গুরু। ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মধু পাগলা যখন গাঁ�

বৈঠকখানা রোডের পুরাতন মেসবাড়ি থেকে ব্যাগ গুছিয়ে অমল রাস্তায় পা দিয়েই বুঝল আজ দেরি হয়ে গেছে বেশ, জামার পকেট থেকে মোবাইল বের করে সময় দেখল, বেলা প্রায় সাড়ে চারটে, ওদিকে চারটে সাত

ঠিক সাতাশ বছর আগে জয়া বুঝতে ঠি পেরেছিল, রানিসায়রে পড়ে থাকলে সে একটা লেভেলের পরে আর উঠতে পারবে না। হয়তো এমএসসি-টা পাশ করে ফেলবে। স্কুলে শিক্ষকতার চাকরিও একটা পেয়ে যাবে। কিন

লোকটার মুখের কাটিং অবিকল আমার মতোই। কাটা কাটা মুখ-চোখ। ধারালো ঠোঁট। উন্নত কপাল। খাড়া নাক। হাইটটাও এক চুল এদিক-ওদিক নেই— পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি। যে-ম্যাচো ফিগারের জন্য আমি লেড�

আমাদের মাদারিপুর হাইস্কুলে যখন টিচার হিসেবে যোগ দিলেন সন্ন্যাসীস্যর, আমি ক্লাস সিক্স। নতুন টিচার এলে সবাই কৌতূহলে চুরচুর থাকি। কী জানি কীরকম হবেন মাস্টারমশাই। খুব কি রাগী,

 নিশুতি রাত নেমেছে চরাচর জুড়ে। গাছপালার সবুজ এখন রাতের কালিমা আর জ্যোৎস্নার নি রুপোলি মেখে কেমন কালচে দেখায়। আকাশে চাঁদ মাঝে মাঝেই ঢেকে যাচ্ছে টুকরো মেঘে। আবার মাঝে মাঝে �