2nd Oct 2024
প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৭৫ বছরের পুরনো জানবাজারের রানী রাসমণি বাড়ির দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন রানীর শ্বশুর প্রীতিরাম দাস ১৭৯০ সালে। পরবর্তী কালে ১৮৩৬ সালে এই পূজোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন রানী স্বয়ং।রানিমার শ্বশুরমশাইয়ের আমলে পাঁচ খিলানের দুই দালান বিশিষ্ট আভিজাত্যের ছোঁয়ায় গড়ে ওঠা এই বাড়ির পুজো। রানীমা স্বয়ং সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে, নিষ্ঠা সহযোগে এই পুজো সাড়ম্বরে পালন করতেন। বর্তমানেও তার কোনও ত্রুটি হয়নি।
এই বাড়ির দুর্গাপুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য, অন্যান্য প্রতিমার থেকে প্রতিমা আকারে বড় হয় এবং প্রতিমার চক্ষু যথেষ্ট বড় আকারে অঙ্কন করা হয়। মায়ের গায়ের রং শিউলি ফুলের বোঁটার রঙের। কুমারীপুজো ও সিঁদুর খেলা এই বাড়ির পুজো অন্যতম আকর্ষণ। বিখ্যাত কবিগান শিল্পী ভোলাময়রা এবং এন্টনি ফিরিঙ্গি এই আসরে আসতেন বলেও জানা যায়। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায়, স্বামী বিবেকানন্দ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখেরা এই বাড়ির ঠাকুর দর্শনে এসেছেন বলেও কথিত আছে।
ভোগের উপাচার হিসেবে লুচি, বিভিন্ন ভাজা ও ঘরের তৈরী খাজা, গজা, প্যারা প্রভৃতি মিষ্টি সাজিয়ে দেওয়া হয়। আগে সন্ধি পুজোয় ৪০ মণ চাল এর নৈবদ্য দেওয়া হত যদিও এখন ১ মণ চালের নৈবদ্য দেওয়া হয়। এই আভিজাত্য পূর্ণ বাড়ির দুর্গা পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই যে এই বাড়িতে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত চলে কুমারী পুজো। মাঝ গঙ্গায় জোড়া নৌকায় আগে বিসর্জন হলেও এখন বাহকের কাধে করে ই বাবুঘাটে মায়ের ভাসান হয় । শোনা যায় ১৮৬৪ সালে শ্রী রামকৃষ্ণ স্বয়ং সখি বেশে রানী রাসমণির বাড়িতে দুর্গা পুজো করে যান।