11th Oct 2024
প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি
অষ্টমীর রাতে দেবীর পুজোর সময়ে অশোক গাছের ৯টি পাতা এবং একটি কলসি দেবী দুর্গার ছবির সামনে রেখে ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বারাহী, নারসিংহী, ইন্দ্রাণী এবং চামুণ্ডা দেবীর পুজো করা হয়। দুর্গাপুজোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই সন্ধিপুজো। মহাষ্টমী এবং মহানবমীর সন্ধিক্ষণে হয় বলে তার এমন নামকরণ। মহাষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট এবং মহানবমীর প্রথম ২৪ মিনিট, অর্থাৎ মোট ৪৮ মিনিট ধরে চলে পুজো। ১০৮টি পদ্ম ও ১০৮টি প্রদীপ অর্পণ করা হয় দেবীর পায়ে।
পুরাণ মতে, দুর্গা যখন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন, তখন তাঁকে আক্রমণ করে দুই অসুর চণ্ড ও মুণ্ড। চণ্ড ও মুণ্ডকে যে সন্ধিক্ষণে দেবী বধ করেছিলেন, তারই স্মরণে এই সন্ধি পুজোর আয়োজন। দেবী চামুণ্ডার আহ্বানে এইদিন পুজো করা হয়। সন্ধিপুজোর শেষ পর্যায়, অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান হয়। অনেক জায়গায় ছাগল বলি আবার কিছু কিছু জায়গায় আঁখ, চালকুমড়ো, কলা প্রভৃতি বলি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধি পুজোর বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮ পদ্ম নিবেদন করা হয়। সে সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮ পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭ পদ্ম।
তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান নেত্র দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তখনই দেবী আবির্ভূত হয়ে বর দান করেন যে, তিনি রাবণের থেকে নিজেও সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। ষষ্ঠীর দিন রামচন্দ্র পুজো শুরু করেন। অষ্টমী এবং নবমী তিথির মাঝে রামের অস্ত্র প্রবেশ করে এবং দশমীর দিন রাবণের বিনাশ হয়।