15th Sep 2024
প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৭৫৭ সালে বাংলার নবাব মীর জাফর কলকাতার দক্ষিণে কুলপি পর্যন্ত অঞ্চলে চব্বিশটি জংলীমহল বা পরগনার জমিদারি সত্ত্ব ভোগ করার অধিকার দেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে। সেই থেকে জেলাটির নাম হয় চব্বিশ পরগনা। পরবর্তীকালে জেলাটির উত্তরাংশ নিয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা গঠিত হয়। চাঁদ সওদাগর চম্পকনগরী থেকে যাত্রা শুরু করে তার তরী ভাসিয়েছিলেন ভাগীরথীর প্রবাহে। কর্ণপুর রচিত “চৈতন্যচরিতামৃত” গ্রন্থে ও ২৪ পরগনা জেলার অনেক জায়গার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। “মনসামঙ্গল” কাব্যে ও “চৈতন্যচরিতামৃত” গ্রন্থে পাওয়া বিভিন্ন জায়গার নাম ও বিবরণ তুলনা করলে দেখে যায় ২৪ পরগনা জেলার উক্ত জায়গাগুলির অস্তিত্ব ছিল।
কাঁচাগোল্লা
দীনবন্ধু মিত্র, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়,রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহর, সাহিত্যের পাশাপাশি যে মিষ্টি কারণে বৃহত্তর বঙ্গে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে, তা হলো কাঁচাগোল্লা। নরমপাকের এই মিষ্টিটির সাধারণ উপকরণ হলো ছানা, চিনির রস (শীতকালে নলেনগুড়), ছোট এলাচ, পেস্তার কুচি ইত্যাদি।
কী কী লাগবে
ছানা, চিনি অথবা গুড়, ঘি, এলাচ গুঁড়ো, পেস্তা কুচি, গোলাপ জল, খোয়া ক্ষীর
কীভাবে বানাবেন
সব একসাথে মেখে হালকা আঁচে পাক দিন। খুব নরম পাক হবে।
গোলাপজল মিশিয়ে গোল গোল বলের মতো পাকিয়ে গুঁড়ো খোয়াক্ষীরে গড়িয়ে নিলেই তৈরী।
চন্দ্রচূড় দধি
বনগাঁর আর ও একটি ঐতিহ্যশালী মিষ্টি হল চন্দ্রচূড় দধি। প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ বছর আগে যোগেন চন্দ্র ঘোষ যার আবিষ্কার করেন।
কী কী লাগবে
দুধ, চিনি, মিষ্টি দই
কীভাবে বানাবেন
এই দই বানানো হয় কাঠের উনুনে। প্রথমে কড়াইতে দুধ ঢেলে চিনি মিশিয়ে ফুটতে দেওয়া হয়।
তবে দুধ ফুটতে বসিয়ে প্রথমে কিছুটা দুধ তুলে রাখা হয়। ৭-৮ ঘন্টা ধরে দুধ ফুটতে থাকে।
আর এই দুধ ফুটে কিছুটা মরলে এর মধ্যে আবার আগের দুধ মেশানো হয়। এভাবে দুধ মেড়ে একেবারে ৪০ শতাংশ করে ফেলা হয়।
দুধের রং হলদেটে হলে তখন দুধের ঘনত্ব দেখা হয়। প্রয়োজন মত চিনি মিশিয়ে ঘন করে ক্ষীর তৈরি করা হয়। ঘন ক্ষীর তৈরি হলে দুধ নামানো হয়।
এবার এর মধ্যে ফ্রেশ দই এর সাজা দিয়ে দই বসানো হয়। সাজা দিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে ছোট ছোট মাটির হাঁড়িতে তা ভরে ফেলা হয়।
এবার তা কয়লার আঁচে বসানো হয়। উপর থেকে বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় যাতে কোনওভাবেই আঁচ না বাইরে বেরোতে পারে। ঠান্ডা করে নিলেই তৈরী।