4th Dec 2024
প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি
দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার রবীন্দ্র সরোবরের গাঁ ঘেঁসে খুব স্বল্প পরিচিত বৌদ্ধ মন্দির নিপ্পনজান মায়োহোজি। জাপানিদের তৈরি এই মন্দির ১৯৩০-৩১ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। নিপ্পনজান মায়োহোজি বা নিপ্পনজান-মায়োহাজি-ডাইসাঙ্গা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। অপূর্ব সুন্দর এই মন্দির। দারুন নকশার সুক্ষ্ম কাজে জাপানি সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট। মন্দিরে ঢুকতেই চোখে পড়বে জাপানি ভাষায় লেখা বার্তা, পদ্মসূত্রের এই অপরূপ জগতে আমি নিজেকে আত্মসমর্পণ করলাম।
জাপানিদের বিশ্বাস, মঠটি হল প্রশান্তির আদর্শ স্থান। দক্ষিণ কলকাতার লেক রোডে অবস্থিত এই মন্দিরটি ১৯৩০ ৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বৌদ্ধধর্মের নিপ্পনজান মায়োহোজি বা নিপ্পনজান-মায়োহাজি-ডাইসাঙ্গা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়েছে। বৌদ্ধধর্মের এই ভাগটি চালু হয় ১৯১৭ সালে। বৌদ্ধ সন্ন্যাসী নিচিদাতসু ফুজি বৌদ্ধ ধর্মের এই বিশেষ ভাগটি প্রবর্তন করেন। বৌদ্ধমন্দিরে আরাধনা করেন মূলত এই সম্প্রদায়ের মানুষর।
অপূর্ব সুন্দর এই মন্দির। দারুন নকশায় কাজ,জাপানি সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট এখানে। মন্দিরে সবসময় বিরাজ করে অদম্য শান্তি। প্রধান ফটক পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীর মন শান্ত হয়ে যায়। দোতলা মন্দিরের বাইরেটা ফুলের বাগান। ভিতরের এক তলাটি প্রার্থনা সভা। বাইরের দর্শনার্থীরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এখানে প্রবেশের অনুমতি পান। প্রার্থনা হয় দুই বেলা, সকাল এবং সন্ধে। ভোর পাঁচটা নাগাদ প্রথম প্রার্থনা এবং সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হয় দিনের দ্বিতীয় প্রার্থনাটি। প্রার্থনা কক্ষের বিশাল বেদীতে বিরাজমান শ্বেত পাথরের বুদ্ধ মূর্তিটিতেও জাপানি শিল্পকলার ধাঁচ স্পষ্ট। নিপ্পনজান মায়োহোজির দ্বিতীয় তলে রয়েছে ধ্যান কক্ষ এবং আর্য ধর্ম গ্রন্থাগার। বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় এই মন্দিরে সেজে ওঠে জমকালো সাজে। মন্দির চত্বর জুড়ে তখন উৎসবের মেজাজ। সেই দিন মন্দিরে প্রবেশের অবাধ অনুমতি থাকে। প্রসাদ হিসেবে বিস্কুট, ফল ইত্যাদি দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের।