23rd Sep 2024
প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি
সম্পর্ক শুরু করার সময় দুজনকেই কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। দুটো মানুষ তো দুরকম হবেনই। এক ছাদের নীচে মানিয়ে থাকার প্রথম ধাপ অ্যাডজাস্টমেন্ট। তবে মেয়েরা যেহেতু বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে শ্বশুড়বাড়িতে যান, তাই মানিয়ে নেওয়ার পাল্লাটা হয়তো তাঁদের দিকেই ভারী। অনেকসময় দেখা যায় বিয়ের পর স্বামীর বিদেশে চাকরি, ছোট সন্তানের দেখভাল ইত্যাদি নানা কারণে স্ত্রীকে নিজের কেরিয়ারের বদলে বেছে নিতে হয় সংসারের দায়িত্ব।
কিন্তু যখন সবচেয়ে কাছের মানুষটির কাছে সেই ত্যাগস্বীকারের মূল্য পাওয়া যায় না, উলটে সকলেই স্বামীর সাফল্য, কেরিয়ার নিয়েই প্রশংসায় মেতে ওঠেন তখন নিজের অজান্তেই সেই মানুষটার প্রতি বিদ্বেষ জন্মাতে পারে। দেখা দিতে পারে সম্মান হারানোর ভয়। আবার দুজনে চাকরি করলেও একজন যদি ক্রমশ সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে থাকেন, তুলনায় আর একজন পিছিয়ে পড়েন, তাহলেও দেখা দিতে পারে জেলাসি। আসলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের নানা জটিলতার মধ্যে একটি অবশ্যই একে অপরকে হিংসা। এতে কখনও মিশে থাকে ইগো এবং প্রতিযোগিতার মনোভাব, কখনও বঞ্চনার দুঃখ এবং হয়তো কিছুটা অভিমানও। এই নেগেটিভ ইমোশন খুব দ্রুত তার কুপ্রভাব ছড়িয়ে দেয় শরীর মনে এবং দাম্পত্য থেকে হারিয়ে যায় উষ্ণতার স্পর্শ।
প্রথমে দেখা দরকার আপনার সঙ্গীর সত্যিই দোষ আছে কি না। অনেকসময় তুচ্ছ কোনও বিষয়ে হেরে যাওয়া বা বন্ধুমহলে জনপ্রিয়তা হারাবার ভয় থেকেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে জেলাসি দেখা দিতে পারে। নিজের কাছে সৎ থেকে ভাবনাচিন্তা করুন।
অফিসের কাজে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, সংসারের দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন না। দুজনে মিলে কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নিন।
সঙ্গীর সাফল্যের আনন্দ ভাগ করে নিন। মনে রাখবেন আপনারা দুজনে একটা ইউনিট। তাই একজনের সাফল্যে অন্যজন সমান অংশীদার।
আপনার সাফল্যে আপনার কৃতিত্ব তো অবশ্যই আছে। কিন্তু এর পিছনে সঙ্গীর সহযোগিতার কথা ভুলে যাবেন না। বন্ধুমহলে আপনার সাফল্য নিয়ে কথা হলে আপনি নিজেই সঙ্গীর প্রসঙ্গ তুলে খোলামনে প্রশংসা করুন।
আপনার সঙ্গীর সঙ্গে একটা আউটিং প্ল্যান করুন। আপনাদের দুজনের পছন্দের কোনও জায়গা বেছে নিন। একঘেয়ে সাংসারিক কথাবার্তা দূরে সরিয়ে রেখে প্রাণ খুলে আড্ডা দিন। দেখবেন নিজেদের মধ্যে দূরত্বটা সহজেই কমে যাবে।
আপনি যদি হোমমেকার হন, তাহলে স্বামী সংসার এবং সন্তানের বাইরে নিজের একটা জগৎ গড়ে তুলুন। নতুন করে নাচ, গান বা ছবি আঁকা শিখুন। নিজেকে প্যাম্পার করুন। চাইলে নিজের মতো করে কোনও হোম বেসড বিজনেস শুরু করতে পারেন।