14th Oct 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য নাগাল্যান্ড থেকে।

8th Apr 2024

ভ্রমণ

নিজস্ব প্রতিনিধি


বন্য আর সভ্য জীবনের মিশেলে আদিম অরন্যের হাতছানি তে সাড়া দিতে, গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন নাগাল্যান্ড। উত্তর পূর্বের এই ছোট্টো রাজ্যটি হাসিখুশি, শান্ত, নির্মল এবং চিরসবুজ। প্রকৃতিদেবী যেন সবুজ গালিচা পেতে দিয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। পাহাড়িয়া এই গ্রামের বাস করেন বহু আদিবাসী। তাঁদের জীবনযাত্রা, উৎসব-পরব পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয়। নাগাল্যান্ডের সংস্কৃতি কিংবদন্তী এবং ইতিহাসের একটি সংমিশ্রন। ছোট্টো এই পাহাড়িয়া রাজ্যে ভারতীয় নাগা সম্প্রদায়ের জাতিগত সংস্কৃতির ঝলক মেলে। সারা বছরই এখানকার জলবায়ু মনোরম। বিশেষ করে মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এটি পর্যটনের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়।

কোহিমা:
পাহাড়ের ধাপে ধাপে ছোট্ট শহর কোহিমা। এ’রাজ্যের রাজধানী। এই শহর অনায়াসে একদিনেই দেখে ফেলা যায়। প্রথমেই দেখে নিন কোহিমা ওয়ার সিমেট্রি। এখানেই টানা তিন মাস যুদ্ধ চলে আজাদ হিন্দ
বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজদের। শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ সৈন্য পরাজিত হয়ে পিছু হটে। এখানকার কবরখানায় ১৪২১ জন শহিদের প্রতীকী কবর আছে। এরপর চলে যান স্টেট মিউজিয়াম দেখতে। এখানে নাগাল্যান্ডের উপকথা, প্রাচীন মুদ্রা, জীবজন্তুর দেহাংশ সবই সংরক্ষিত আছে। মিউজিয়াম দেখার পর বড়াবস্তি। কোহিমার সব চাইতে পুরনো এবং 
বড় গ্রাম। এখানকার অধিবাসীদের বলা হয় অঙ্গামি নাগা। বস্তি হলেও গ্রামটি সাজানো গোছানো ছবির মতো সুন্দর। এরপর একে একে দেখুন চিড়িয়াখানা আর আরাদুরা ক্যাথলিক ক্যাথিড্রাল। 

কীভাবে যাবেন:
কলকাতা থেকে প্রতিদিন নাগাল্যান্ড যাওয়ার বিমান পাবেন এয়ারপোর্ট
ডিমাপুর। সেখান থেকে ৭৪ কিমি দূর কোহিমা যেতে হবে বাস বা ভাড়া গাড়িতে। নাগাল্যান্ড পৌছানোর সরাসরি কোনও ট্রেন কলকাতা থেকে 
নেই। কলকাতা থেকে কামরূপ বা অন্য কোনও ট্রেনে গুয়াহাটি গিয়ে 
সেখান থেকে প্রতিদিন সকালে জন শতাব্দী এক্সপ্রেস পাবেন ডিমাপুর যাওয়ার। এই ট্রেনটি রবিবার থাকে না। 

থাকবেন কোথায়:
মিলেনিয়াম হোটেল
ফোন: ০৩৭ ০২২৪ ১৮৫১।
হোটেল ফিরা
ফোন: ০৩৭ ০২২৪ ০৯৪০। 

এছাড়া কী দেখবেন:
জাপফুচুড়োহল ভিউপয়েন্ট। এখান থেকে গোটা শহর দেখা যায়। শেয়ার ট্যাক্সি বা বাসে যাওয়া যায় ১৫ কিমি দূরের এই ভিউপয়েন্টে। ডিমাপুরে থাকাকালীন দেখে নিতে পারেন ইনটাকি স্যাংচুয়ারি। দূরত্ব ৩৭ কিমি। 
এখানে বাঘ, হাতি, শম্বর, উড়ন্ত কাঠবেড়ালি, ভালুক অনেক কিছুই আছে। 
বাসে বা গাড়িভাড়া করে যেতে পারেন। দিনের দিন দেখে ডিমাপুরে ফিরে যেতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও ঘুরতে যেতে পারেন মককচুং। আও উপজাতিদের শহর। রোমিও জুলিয়েট পাহাড়ের পাদদেশে এই শহর রূপকথার মতো সুন্দর। এখানে সবাই প্রায় খ্রিষ্টান। রয়েছে চার্চ, সেলস এম্পোরিয়াম। কোহিমা আর ডিমাপুর থেকে থেকে প্রতিদিন এখানে আসার বাস পাবেন। থাকতে পারেন সরকারি ট্যুরিস্ট লজে, 
ফোন: ০৩৬ ৯২২২ ৬২৬১।

Archive

Most Popular