9th Apr 2024
স্বাস্থ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি
সারা দিনের পরিশ্রম শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা জলের বোতলে চুমুক। এ স্বভাব প্রায় আমাদের সবার। সরাসরি ঠান্ডা জল খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, শুধুমাত্র ঠান্ডা রঙিন পানীয়ই নয়, ঠান্ডা জলেও রয়েছে মারণ রোগের হাতছানি। শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে জেনে নিন।
১.হজমে বাধা:
ঠান্ডা পানীয় রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে দেয়। হজমে বাধা দেয় ও হজমের সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণেও বাধা দেয়। সেই সঙ্গেই জলের তাপমাত্রার সঙ্গে সাম্য বজায় রাখতে গিয়ে ডিহাইড্রেশন হয়ে যেতে পারে।
২.গলা ব্যাথা:
ঠান্ডা জল শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়। এছাড়াও গলা ব্যাথা, নাক বন্ধ, জ্বর হতে পারে।
৩.ফ্যাটের পরিপাকে বাধা দেয়:
খাওয়ার ঠিক পরেই ঠান্ডা জল খেলে তা খাবারে থাকা ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফ্যাট হজম হতে বাধা পায় ও শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়। তবে শুধু ঠান্ডা জল নয়, খাওয়ার ঠিক পরই জল খাওয়া উচিত নয়। অন্তত ৩০ মিনিট পর জল খাবেন।
৪.হার্ট রেট কমানো:
কিছু গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠান্ডা জল হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে। বরফ ঠান্ডা জল দশম কার্নিয়াল নার্ভকে উত্তেজিত করে। এই নার্ভ হার্ট রেট কমিয়ে দেয়।
৫.শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তারতম্য:
ওয়ার্কআউট করার পর খুব গরম লাগে, তখন অনেকেই ঠান্ডা জল খেতে চান। কিন্তু ওয়ার্কআউটের পর কখনোই ঠান্ডা জল খাওয়া উচিত নয়। জিম এক্সপার্টরা ওয়ার্কআউটের পর গরম জল খেতে বলেন। কারণ এক্সারসাইজের পর শরীর গরম হয়ে যায়। এই সময় বরফ ঠান্ডা জল খেলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তারতম্য তৈরি হয় যা শরীরের ক্ষতি করে।