21st Nov 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

হৃদরোগের ৬টি বিরল এবং বাহ্যিক লক্ষন

23rd Apr 2024

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি


আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে কিনা জানতে একটা সহজ পদ্ধতি আছে। কী সেই পদ্ধতি জানেন? একবার চেষ্টা করে দেখুন তো আপনার হাতের আঙুল পায়ের পাতা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না? এমনটা করার মাধ্যমেই কিন্তু আপনি বুঝে যেতে পারবেন আপনার হার্ট অসুস্থ কি না।

একাধিক গবেষণাতেও একথা প্রমাণিত হয়েছে যে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার মাধ্যমে হার্টের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। তাই এই নিয়ে কোনও বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরের সঙ্গে আর্টারির ইলাস্ট্রিসিটির একটা যোগ রয়েছে। তাই যারা পায়ের পাতা বা আঙুল ছুঁতে পারেন না, তাদের ব্লাড ভেসেল খুব স্টিফ হয়। ফলে এমন মানুষদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অন্যদের থেকে বেশি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে তো এমন মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও থাকে। তাই যদি দেখেন আপনি পায়ের আঙুল ছুঁতে পারছেন না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরমার্শ নেবেন। অপরদিকে যারা সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটি উপরে থেকে একেবারে নিচে এনে পায়ের আঙুল ছুঁতে পারেন তাদের হার্টের স্বাস্থ্য যে বেজায় ভাল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

হৃদরোগের ৬টি বিরল ও বাহ্যিক লক্ষণ:
হৃদরোগ একেবারে বলে কয়ে আসে না। এমন একটি রোগ যা আমরা কখনও আগে টের পাই না। হার্ট অ্যাটাক হলেই বুঝতে পারি আমরা হৃদরোগে আক্রান্ত। কিন্তু এমন কিছু শারীরিক চিহ্ন/ উপসর্গ আছে যা দেখে বোঝা যাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন আপনি।

১.কানের লতিতে ভাঁজ:
কানের লতি নিয়ে হৃদরোগের আগমনী বার্তাটি প্রথম আবিষ্কার করেন আমেরিকান ডাক্তার স্যান্ডার্স ফ্রাঙ্ক। তারপর থেকে এই চিহ্নকে ফ্রাঙ্ক সাইন বলা হয়। সাধারণত কানের লতি সমতল হয়ে থাকে যদি কানের লতিতে ভাঁজ পড়ে তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন বোঝা যাবে। হার্টের ধমনীতে রক্ত সংবহন বাধাপ্রাপ্ত হলেই কানের লতিতে ভাঁজ পড়ে। অনেক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ মনে করেন কানের লতিতে ভাঁজ বার্ধক্যের লক্ষণ। তবে গবেষকরা গতবছর সর্বাধুনিক সিটি স্ক্যান মেথড ব্যবহার করে কানের লতিতে ভাঁজ হৃদরোগের পূর্বাভাস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

২.শরীরে হলুদ হয়ে যাওয়া অতিরিক্ত অংশ:
হৃদরোগের আরেকটি চিহ্ন হলো শরীরের বিভিন্ন অংশে আঁচিলের মতো কিছু হওয়া। সাধারণত কনুই, হাঁটু, নিতম্ব ও চোখের পাতায় হয়ে থাকে। দেখতে তেমন ক্ষতিকর হয়তো নয়, কিন্তু এটা বিরাট সমস্যার চিহ্ন। 

৩.নখের আকার পরিবর্তন:
হাতের নখের আকার পরিবর্তন হলে বা অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়লে বুঝতে হবে হার্টের অবস্থা ভালো নয়। নখ যখন চামড়ার থেকে বেশি বেড়ে গিয়ে বেঁকে যায় তখন তাকে ক্লাবিং বলে। আস্কুলের টিস্যুগুলো মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণত এই রোগ দেখা দেয়। আর এরকম হওয়ার কারণ হলো হার্ট থেকে পর্যাপ্ত রক্ত আঙুলের নখে পৌঁছতে পারছে না। দেহে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল থাকলেই সাধারণত নখের রং গোলাপি হয়। নখের নিচে অনেক সময় সরু এক চিলতে রক্তপাত দেখা যায়। একে বলা হয় স্প্লিনটার হেমারেজ। এটিও হৃদরোগের উপসর্গ।

৪.আইরিশের চারপাশে ধূসর বলয়:
চোখের আইরিশের বাইরের প্রান্তে ধূসর, সাদা বা হলুদ অর্ধচক্র বা বৃত্তাকার বলয় থাকলে বুঝতে হবে আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি। যা হৃদরোগের চিহ্ন। একে বলা হয় আকাস সিনিলিস। এটি আপনার দৃষ্টি প্রভাবিত করবে না। কিন্তু হৃদরোগের উপসর্গকে চিহ্নিত করে। সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী প্রায় ৬০ শতাংশ লোকের চোখে এই বৃত্তাকার বলয় দেখা যায়। ৮০ বছর পর, প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষের চোখে এটা দেখা যায়। তবে বিশেষ করে যদি আপনার ৪০ বছর বয়সের আগে এই রোগ নির্ণয় করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি হার্টের রোগের ঝুঁকিতে আছেন।

৫.দাঁতের ক্ষয়:
আপনার দাঁতের অবস্থা বলে দেবে আপনার হার্টের কী অবস্থা। যদি দাঁতের গাম নষ্ট হয়ে দাঁতের ক্ষয় হতে থাকে বা দাঁত পড়ে যায় বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে বুঝতে হবে হার্টের অবস্থা ভালো নয়। মুখের ভিতর ভালো ও খারাপ দু ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর খারাপ ব্যাকটেরিয়ার রক্তে প্রবেশ করে হার্টের ক্ষতি করে থাকে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, দাঁতের অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থা এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ায় রক্তপ্রবাহে ৭০০ বেশি বিভিন্ন জীবাণু প্রবেশ করে। আর এর কারণে কেউ সুস্থ বা ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হলেও তার হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৩৯টি দেশের ১৫ হাজার ৮২৮ জনের ওপর গবেষণাটি চালিয়ে এ কথা জানান। এমনকি দাঁত পড়া মানে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১১ শতাংশ।

৬.ঠোঁটের রং নীল:
হৃদরোগের আরেকটি উপসর্গ হলো ঠোঁটের রং নীল হয়ে যাওয়া। সাধারণত স্বাভাবিক অবস্থায় ঠোঁটের রং লাল বা গোলাপি হয়ে। থাকে। যখনই ঠোঁটের রং নীলচে বা নীলাভ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে হার্টে সমস্যা রয়েছে। তবে হ্যাঁ অনেক সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা উচ্চতায় উঠলে ঠোঁটের রং নীল হতে পারে। এর কারণ হলো তখন হার্টে স্বাভাবিক অক্সিজেন চলাচল ঠিক থাকে না।

উপরের চিহ্নিত লক্ষণ দেখে দুশ্চিন্তা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই সবচেয়ে যৌক্তিক কাজ।

Archive

Most Popular

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকুন, ঘরোয়া টোটকায় ..

21st Nov 2024

প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিনিধি

Read More