21st Nov 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকুন, ঘরোয়া টোটকায় ..

21st Nov 2024

প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিনিধি


হঠাৎ করেই বেশ ঠান্ডা পড়েছে। স্নান করতে গেলেই হুঁ হুঁ করে কাপছেন? বাইরেও হিমেল হাওয়ার প্রভাব সুস্পষ্ট। আবার ঘরের মধ্যে থাকলে মাঝে মাঝে ফ্যান চালাতে হচ্ছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় আবহাওয়ার এই তারতম্য ই শরীর খারাপের আসল কারন। কী করলে সুস্থ থাকবেন চলুন জেনে নিই। 

সিজন চেঞ্জে কী কী সমস্যা হয়?

সবথেকে বেশি সমস্যা হল ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি, কাশি। এই সময় অনেকে শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভোগেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে। রক্তচাপ বেড়ে যায়। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের রোগী, তাঁদের ব্রেন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এছাড়া শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য অনেকে ত্বকের নানা সমস্যায় ভোগেন।

ঋতু পরিবর্তনে কেন এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরে থাকে থার্মোস্ট্যাট। যা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বজায় রাখে। কিন্তু, বাইরের তাপমাত্রায় যদি বড়সড় কোনও পরিবর্তন হয় তখন আর এই থার্মোস্ট্যাট কাজ করে না। সেইসময়ই সর্দি-কাশি- জ্বরে আক্রান্ত হয়। 

কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

১.ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এই সময় ফ্যান বা এসি না চালালেই ভাল। 

২.জল বেশি করে খেতে হবে। তবে ফ্রিজের জল কিংবা ঠান্ডা পানীয় একেবারেই নিষেধ।

৩.রাস্তার ধুলো-ময়লা থেকেও অনেকসময় সমস্যা হয়। তাই মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে এসে অবশ্যই ভাল করে হাত-মুখ ধুতে হবে।

৪.ভোরের দিকে বা রাতের দিকে গরম পোশাক পরুন। 

৫.বেলা করে স্নান করবেন না। সময়ে স্নান-খাওয়াটা ভীষণভাবে জরুরি এই সময়।

৬.ত্বক যাতে শুষ্ক না হয়ে যায়, তার জন্য নিয়ম করে দিনে দুবার হাতে-পায়ে-মুখে ময়েশ্চরাইজার লাগান। 

৭.স্নানের পর অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন। রোজ স্নান করুন। হালকা ঠান্ডাতেই স্নান করতে চান না অনেকে। ভুলেও তা করবেন না। স্নান করলে, পরিষ্কার থাকলে রোগ কম হয়।

ঘরোয়া টোটকা:

১.এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। সম্ভব হলে এর সঙ্গে দু’ চা চামচ মধু এবং এক চিমটে গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। উপকার পাবেন।

২.গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। জলে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে জ্বাল দিয়ে চায়ের মতো করে খান। 

৩.একটি পাত্রে আদা, কাঁচা হলুদ, গোলমরিচ, তেজপাতা, লবঙ্গ আর মেথি একসঙ্গে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এর পর মিনিট খানেক রেখে দিন। তীব্র গরম ভাবটা যখন কমে যাবে তখন অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। খুকখুকে কাশি তো কমবেই সেই সঙ্গে চলে যাবে ইনফ্লামেশন।

৪.ইউক্যালিপটাস তেল সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ নাক খুলে দেয়, শ্বাসকষ্ট এবং সর্দি থেকে মুক্তি দেয়।

৫.বেসনের হালুয়া মেটাবলিজম বাড়ায় ও শরীরে এনার্জি জোগায়। এ ছাড়াও ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া, কাশি, সর্দি থেকে শরীরকে বাঁচায়। 

৬.সর্দি কাশি থেকে দ্রুত উপশম পেতে আদার রসে মিশিয়ে মধু খাওয়া যেতে। গরম জলে লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়েও পান করা যায়।

৭.শুকনো কাশির জন্য মধুর সঙ্গে কয়েকটি তুলসী পাতা এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন। না হলে তুলসী পাতার রস বার করে, তার মধ্যে মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

Archive

Most Popular

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকুন, ঘরোয়া টোটকায় ..

21st Nov 2024

প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিনিধি

Read More