14th Oct 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

দুবাইতে দু-চার দিন

8th May 2024

ভ্রমণ

নিজস্ব প্রতিনিধি


এ' শহর বাঁচতে শেখায়। একদম অন্য সুরে। সেই বেঁচে থাকার গল্প নিয়ে টিম অনন্যা।

আরব সাগরের তীরের দেশ সংযুক্ত আরব আমীরশাহী। সেখানকার মোহময়ী আ স্বপ্নের শহর দুবাই। মানুষের কল্পনায় আকাশচুম্বি তার উচ্চতা, তার বৈভব। প্রসঙ্গত উল্লেখ করে রাখি, দুবাই থেকে প্রায় ১৫০ কি. মি. দূরে আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর রাজধানী। এটি বিখ্যাত শেখ জায়েদ মসজিদ, এমিরেট প্যালেস হোটেল, যশ আইল্যান্ড (যেখানে রয়েছে আবুধাবী গ্রান্ড প্রিক্স-এর ফরমুলা ওয়ান ট্রাক), ফেরারী ওয়ার্ল্ডয়ের আইকনিক ল্যান্ডমার্কের সৃজনক্ষেত্র। দুবাইয়ের মতো আবুধাবীও আজ পৃথিবীর ভ্রমণ মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।

দুবাই কেন বিখ্যাত কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানকার সম্পর্কে সবকিছু জেনে নেওয়া প্রয়োজন। যেমন, মূলত চারটি কারণের জন্য দুবাই আজ বিশ্বের প্রথম সারির পর্যটন কেন্দ্র।

দুবাইয়ের সৃজনশীলতা একনম্বরে। যা গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আকাশচুদি অট্টালিকা, আধুনিক স্থাপত্য, ঝকঝকে শহর তার প্রপ্রমাণ। বুর্জ আল আরব, বিশ্বের একমাত্র সাত তারকা হোটেল অথবা বুর্জ খলিফা (অনেকে বুর্জ দুবাইও বলে থাকেন। বিশ্বের উচ্চতম বিল্ডিং, পাম জুমেরার মতন কৃত্রিম দ্বীপ বা দুবাই মেরিনা, জুমেরার লেক টাওয়ারের মত হাউসিং কমপ্লেক্স, দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার; এসব দেখলেও চোখ ধাঁধিয়ে যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সর্বাধুনিক ইমারত রয়েছে এখানে। দ্বিতীয় নম্বরে অবশ্যই জায়গা দিতে হবে এখানকার হাল ফ্যাশনের শপিং রাজত্বকে। দুবাই হল কেনাকাটার স্বর্গরাজ্য। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৬৪টি শপিং মল রয়েছে এখানে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হল দুবাই মল। আরও প্রায় ৯টা মল বানানো হচ্ছে, একমাত্র এই শহরেই পৃথিবীর সমস্ত জনপ্রিয় ব্র‍্যান্ডের অজস্র দোকান পাবেন। তাছাড়া প্রতি বছর নভেম্বর মাসে প্রায় পাঁচ মাস ব্যাপী "দুবাই শপিং ফেস্টিভ্যাল' (ডি এস এফ/DSF) হয়। এটির প্রধান আকর্ষণ হল গ্লোবাল ভিলেজ।

যেখানে প্রায় সারা পৃথিবীর সমস্ত দেশের স্টল বা প্যাভিলিয়ন দেখা যায়। জামাকাপড়, ড্রেস। ম্যাটিরিয়াল থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, ঘরের আসবাব পত্র, আধুনিক রান্নার সরঞ্জাম, শৌখিন উপহার কী নেই সেই কেনাকাটার মেলায়। প্রতি দিন বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়নে সেই দেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। প্রায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সেল লেগেই থাকে। বিনোদনের ক্ষেত্রেও দুবাই পৃথিবীর যে-কোনও উন্নত দেশকে লজ্জায় ফেলে দিতে পারে। সমস্ত ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা এখানে উপলব্ধ, অসংখ্য ওয়াটার পার্ক, সমুদ্র সৈকত, চিলড্রেন পার্ক, চিড়িয়াখানা ছাড়াও প্রায় সমস্ত ধরনের সিনেমা হল, নৌকা ভ্রমণ, লং ড্রাইভ, ডলফিন শো, স্কুবা ড্রাইভিং, প্যারা গ্লাইডিং, বেলুন রাইড, সিমোজেন রাইডও করার বন্দোবস্ত আছে। অসংখ্য অ্যাপার্টমেন্ট হাউস, দু' তারকা থেকে শুরু করে সাত তারকা পর্যন্ত হোটেল আছে এই শহরে। ভারতীয়, পাকিস্তানী, বাংলাদেশী, শ্রীলঙ্কা, আরাবিক, বিভিন্ন ইউরোপীয়, মেক্সিকান, আমেরিকান, চাইনিজ, থাই, মোঙ্গলিয়ান, জাপানিজ প্রভৃতি প্রায় সব ভেজ বা নন ভেজ রেস্টুরেন্টও পর্যাপ্ত রয়েছে দুবাইতে। বলা হয় যে এ' শহর নাকি কখনো ঘুমোয় না। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতা হল দুবাইয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য। প্রায় পৃথিবীর সমস্ত দেশের মানুষ এখানে থাকে। সমগ্র জনসংখ্যার মাত্র চোদ্দ শতাংশ হল আসল নাগরিক। বিবিধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এখানে এক মিশ্র ভাবধারা সৃষ্টি করেছে। এ' যেন এক ছোট্ট পৃথিবী। দেশের আইনশৃঙ্খলা বেশ কড়া। সেই কারণে সম্পূর্ণ নিরাপদে যে- কোনও সময়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়ানো সম্ভব। ভ্রমণার্থীদের কাছে দুবাই এই সমস্ত কারণেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।

দুবাই ও আবুধাবীর কিছু আকর্ষণ

বুর্জ খলিফা:
পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম ইমারত। সাধারণ দর্শকরা এর উপর থেকে গোটা দুবাই শহর দেখতে পাবেন।

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ- আবুধাবির প্রাক্তন শাসক এবং দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির সমাধি স্কুল। এর কারুকার্য আর বিশালতা দর্শকদের বিস্মিত করে, এই মসজিদে নিয়ম মেনে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেরই প্রবেশাধিকার আছে।

শপিং মল, দুবাই/আবুধাবী জুড়ে প্রচুর চোখধাঁধানো শপিং মল রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান দুটো হল, দুবাই মল আর ডালমা মল (আবুধাবী)। দুবাই মলের আকর্ষণের মধ্যে প্রধান দুটো হল বিশালাকার আকোয়ারিয়াম আর সন্ধেবেলায় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড।

আল ফাহিদী ডিস্ট্রিক্ট, 'বার দুবাই'-এ অবস্থিত এই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ হল পুরোনো আরবীয় প্রথাগত ইমারত আর সংস্কৃতির ঝলক। ছোট্ট ছোট্ট ইমারত, সরু গলি, অসংখ্য কিউরিও আর গালিচার দোকান, দুবাই মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারি প্রভৃতি মিলিয়ে মিশিয়ে যেন অভূতপূর্ব আরবিক সংস্কৃতির উপস্থাপনা।

নাইট লাইফ দুবাইয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। অসংখ্য আউটলেট, বার, পাব, নাইট ক্লাব, ঠাণ্ডা সৈকত লাউঞ্জ, ক্যারাওকে জয়েন্ট, লাইভ মিউজিক জয়েন্ট, গ্ল্যামক্লাব, ডিস্কো, ড্যান্স ক্লাব, লেডিস ক্লাব, সুপার ক্লাব এখানে রয়েছে। আরও একটা বিশেষত্ব হল, কম পয়সায় বিনোদনের জন্য প্রায় প্রতিটি জয়েন্টই 'হ্যাপি আওয়ার' বলে দিনের একটা বিশেষ সময় নির্ধারিত আছে, যখন অর্ধেকেরও কম দামে এই আনন্দ উপলব্ধ করা যায়।

বুর্জ আল আরব, দুবাই এর ঐতিহাসিক প্রগতির প্রথম মাইলফলক। মানুষের তৈরি এই কৃত্রিম দ্বীপে অবস্থিত পৃথিবীর প্রথম সাত তারকা হোটেল। এর অভ্যন্তরীণ কারুকার্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। ড্যান্সিং ঝর্ণা, সুবিশাল অ্যাকোয়ারিয়াম, জলের তলার রেস্টুরেন্ট আর বিশাল হেলিপ্যাড আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ঘর বুক না করতে পারলেও অন্তত অগ্রিম রিজার্ভেশন করে এর যে-কোনও রেস্টুরেন্ট এর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।

ইমারত প্যালেস হোটেল, আবুধাবী স্থিত এই সাত তারকা হোটেলটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হোটেলগুলোর একটি। নিজস্ব হেলিপ্যাড থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি সর্বোচ্চ বিলাসিতার সামগ্রীর অবস্থান এখানে। এর অভ্যন্তরীণ কারুকার্য অনেকটাই বিখ্যাত স্বরভস্কি কৃস্টাল দিয়ে তৈরি, যা সবাইকে মুগ্ধ করে। যশ আইল্যান্ড (আবুধাবী গ্র্যান্ড প্রিক্সা/ ফেরারি ওয়ার্ল্ড/ যশ ওয়াটার , এই তিনটি আকর্ষণই আবুধাবীতে পাশাপাশি রয়েছে। যশ আইল্যান্ডে পৃথিবীখ্যাত ফরমুলা ওয়ান ট্রাকে ঘোরা, ফেরারি ওয়ার্ল্ডের দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতা বা যশ ওয়াটার ওয়ার্ডের জলের তলার রহস্য খুঁজে বের করার একটা আলাদা বৈচিত্র্য আছে।

এছাড়াও দুবাই এর মিরাকল গার্ডেন, দুবাই হল অফ ফেম, বলিউড থিম পার্ক, ডলফিনেরিয়াম, কিড জেনিয়া/ আন্ডার ওয়াটার জু/ স্কাই দুবাই (দুবাই মলে), অ্যাটলান্টিসের লস্ট চেম্বার/ রেল রাইড প্রভৃতির মত আরও অসংখ্য আকর্ষণ হাজার হাজার পর্যটককে প্রতি বছর এখানে
টেনে আনে।

ডেজার্ট সাফারি:
ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়িতে অভিজ্ঞ চালকের সঙ্গে সারাটা বিকেল বালির সমুদ্রে বিচরণ। তারপর মরুভূমিতে সূর্যাস্ত, সন্ধেবেলা তাঁবুর পাশে সবাই মিলে হুল্লোড়, গ্রিলড মাংসের স্বাদ নেওয়া। হুক্কার ধোঁয়ায় হারিয়ে গিয়ে, আরবিক বেলি ড্যান্সিং দেখা। রাতে চাইলে হোটেলে ফিরে আসা যায় আবার সারারাত কাটানোরও ব্যবস্থা আছে।

দোহ ক্রুজ ডিনার:
দোহ ক্রুজ ডিনার করতে চাইলে, বুকিং আগে থেকে করাই ভালো।

নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষভাবে সজ্জিত লঞ্চ রেস্টুরেন্টে প্রিয়জনদের সঙ্গে এ' এক অভিনব ডিনারের ব্যবস্থা। এই সময় লঞ্চটি দুবাই ক্রিক-এ জলের মধ্যে ঘুরতে থাকে। যদি কেউ ইয়র্ট ভাড়া নিয়ে সমুদ্রে ঘুরতে চান, তারও ব্যবস্থা আছে। ছোট, বড়, মাঝারি, সমস্ত ইয়টই অল্প বা অধিক সময়ের জন্য ভাড়া পাওয়া যায়।

প্রয়োজনীয় তথ্য:
মুদ্রা- দিরাম (ইউ এ ই), এক দিরাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সতেরো টাকা পঞ্চাশ পয়সা। অজস্র এটিএম মেশিন আছে। ক্রেডিট কার্ড (ভিসা/মাস্টার) সব জায়গাতেই চলে। ছোট মুদির দোকান, ট্যাক্সি থেকে শুরু করে, বড় সাত তারকা হোটেল পর্যন্ত।

ভাষা- আরবিক / ইংরেজি।

ভিসা- চোদ্দ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসা থেকে শুরু করে তিন মাসের ভিজিট ভিসা পর্যন্ত পাওয়া যায়। চোদ্দ দিনের ভিসা প্রায় ৬০০০ থেকে ৮০০০ টাকা। তিন মাসের ভিসা প্রায় ১৮০০০ থেকে ২২০০০ টাকা। এমিরেটস আর ইতিহাদ এয়ারলাইন্স এর টিকিট কাটলে তারা ভিসা পেতে সহযোগিতা করে। এছাড়া আর্থট্রাভেলার ভয়েজার্স-এর (কলকাতা স্থিত ট্রাভেল এজেন্সি) মারফতও সাহায্য পেতে পারেন।

এদের ওয়েব সাইট:
www.earthtraveler.net

সময় পার্থক্য- কলকাতার থেকে দুবাইয়ের সময় পার্থক্য দেড় ঘন্টার।

দুবাই যাওয়ার সেরা সময় নভেম্বরের শেষ থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত। এই সময় আবহাওয়া সবচেয়ে আরামদায়ক থাকে।

কীভাবে যাবেন:
কলকাতা থেকে প্রতিদিন এমিরেটস এয়ারলাইন্স (দুবার) সরাসরি দুবাই আর ইতিহাদ এয়ারওয়েজ (একবার) আবুধাবী যায়, জানুয়ারি/ ফেব্রুয়ারিতে ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম। তাছাড়া মুম্বাই ও দিল্লি থেকে ভারতীয় ও অন্য দেশীয় বিমান সংস্থার প্রচুর বিমান। প্রতিদিন বহুবার দুবাই, আবুধাবী ও শারজায় যাতায়াত করে। মোবাইল ফোন মোবাইল ফোন অপারেট হয় জি এস এম ৯০০/১৮০০, লোকাল সিম পাসপোর্ট কপির বদলে পাওয়া যায় লোকাল দোকানে, ২০ দিরাম থেকে দাম শুরু, ৩জি/৪জি দুটোই আছে। এছাড়া কলকাতার সিম ইন্টারন্যাশনাল রোমিং করেও ব্যবহার করা যায়। ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন- দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের টার্মিনাল ১ আর ৩ তে, ২৪ ঘন্টার ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার আছে।

দুবাইতে বেড়ানোর রোজকার খরচ:

বাজেট ট্রিপ:
প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ দিরাম।

বাজেট হোটেল:
৩০০ থেকে ৪০০ দিরাম। ছোট ভারতীয় রেস্টুরেন্ট, ফুডকোর্ট, সুপার

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, হ্যাপি আওয়ার, পাবলিক বীচ।

মিডরেঞ্জ ট্রিপ:
প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১২০০ দিরাম।

মিডরেঞ্জ ডবল রুম ৫০০ থেকে ৮০০ দিরাম। লাঞ্চ/ডিনার মিডরেজ রেস্টুরেন্টে ৮০ থেকে ১০০ দিরাম, অ্যালকোহল ছাড়া। দুবাইয়ের বিশেষ বিশেষ আর বিখ্যাত আকর্ষণগুলো, ১০০ থেকে ২০০ দিরাম।

হাইরেঞ্জ ট্রিপ:
প্রতিদিন ১৪০০ দিরাম থেকে শুরু। চার তারকা হোটেল রুম ৮০০ দিরাম থেকে শুরু।

থ্রি কোর্স মিল লাক্সারি রেস্টুরেন্টে, ওয়াইন সহ ৪০০ দিরাম থেকে শুরু। দুবাইয়ের সমস্ত প্রধান আকর্ষণগুলো, নাইট লাইফ সহ, ৫০০ দিরাম থেকে শুরু। এছাড়া আর্থট্রাভেলার ভয়েজার্স (কলকাতা স্থিত ট্রাভেল এজেন্সি) এর মারফত প্ল্যান বানাতে পারেন।

ওয়েব সাইট
www.earthtraveler.net

প্রচুর ট্যাক্সি (লোকাল/ইন্টার সিটি), দুবাই মেট্রো, দুবাই বাস, ইন্টার সিটি বাস (আবুধাবী/ দুবাই/শারজা); এছাড়া হাইরেজের শোফার ড্রিভিন বিলাসবহুল বিভিন্ন গাড়ি, লিমোজিনও আছে। দুবাই ট্রান্সপোর্ট অথরিটি পুরোটা কন্ট্রোল করে।

দুবাইয়ের কিছু শপিং মল:
দুবাই মল/ মল অফ ইমারত/ বার জুমান সেন্টার/ সিটি সেন্টার (দিয়ারা-মিরডিফ- মিয়েইসেম)/ ফেস্টিভ্যাল সিটি মল/ ইবন বস্তুতা মল/ মারকাটো শপিং মল/ওয়াফি মল/ আল ঘুরাইয়ার মল/ সেঞ্চুরি মল/ ড্রাগন মার্ট/ দুবাই মেরিনা/ দুবাই আউট লেট/ সুখ আল বাহার/ আরাবিয়ান সেন্টার/ গেলেরিয়া মল/ আল ইত্তিহাদ মল, ইত্যাদি সব মিলিয়ে প্রায় ৬৪টি ছোট বড় বা মাঝারি মাপের মল আছে। 

আবুধাবীর কিছু শপিং মল: আবুধাবী মল/ ডালমা মল/ আল রাহা মল/ আল ওয়াদা মল/ খালিদিয়া মল/ মদিনাদ জায়েদ মল/ মাজায়েদ মল/ মুসরিফ মল/ মেরিনা মল/ যশ মল/ গেলেরিয়া মল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

Archive

Most Popular