30th Dec 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

শীত পড়তেই মন উড়ু উড়ু। একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন কলকাতার বিখ্যাত জৈন টেম্পল, পরেশনাথের মন্দির থেকে।

25th Nov 2024

ভ্রমণ

নিজস্ব প্রতিনিধি


জৈন মন্দির হল জৈনধর্মের অনুগামীদের উপাসনালয়। ভারতের গুজরাত ও রাজস্থান রাজ্যে জৈন মন্দিরকে দেরাসর বলা হয়। জৈন মন্দিরকে বসডি নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই শব্দটি সাধারণত দক্ষিণ ভারত ও মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রচলিত। আবু পর্বতের বিমল বসহি ও লুনা বসহি মন্দিরের নামের মধ্যে উত্তর ভারতে বসডি শব্দটির ঐতিহাসিক ব্যবহারের প্রমাণ নিহিত রয়েছে। এই শব্দটি সংস্কৃত বসতি শব্দটি থেকে এসেছে। মন্দিরগুলি পণ্ডিতদের বাসস্থান ছিল বলে এই শব্দটি প্রযোজ্য হত।

মানিকতলা থেকে একটু এগিয়ে গৌরীবাড়ির দিকে যেতে চোখে পড়বে বদ্রীদাস মন্দির স্ট্রিট। আর এই পথের উপরেই কলকাতার জৈন সম্প্রদায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পীঠস্থান, পরেশ নাথ মন্দির। ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে, রাই বদ্রীদাস বাহাদুর মুকিম নামক এক প্রভাবশালী জৈন ব্যক্তি মন্দিরটির স্থাপনা করেন। মন্দির প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে ছিলেন শ্রী কল্যাণসুরেশ্বর জি মহারাজ। সমগ্র মন্দিরটি চারটি মূল ভাগে বিভাজিত। যথাক্রমে ভগবান শীতলনাথ, চন্দ্রপ্রভূস্বামী, ভগবান মহাবীর স্বামী এবং জৈন আচার্য জিন দত্ত কুশল সুরির পদযুগলের চিহ্ন।

কথিত আছে, পরেশনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরে আছে একটি ঘিয়ের পিদিম, যা একটানা ১৮৬৭ সাল থেকে জ্বলে আসছে। অহিংসা এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে এই পুণ্যশিখা চিরতরে প্রজ্বল্লমান থাকবে, তাই কাম্য। জৈন মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল, গুড় নিবেদন করা হয়। এছাড়াও সুখাদি নামে একরকম ঘি, আটা ও গুড় দিয়ে বানানো বরফির মতো প্রসাদ দেওয়া হয়।

পরেশনাথ মন্দির চত্বরে মোট চারটি মন্দির রয়েছে:

শীতলনাথজি মন্দির (মূলনায়ক: শীতলনাথ ভগবান)

চন্দ্রপ্রভুজি মন্দির (মূলনায়ক: চন্দ্রপ্রভুস্বামী ভগবান)

মহাবীর স্বামী মন্দির (মূলনায়ক: মহাবীর স্বামী)

দাদাওয়াড়ি (জৈন আচার্য জিন দত্ত কুশল সুরির পদচিহ্ন)

জৈন মন্দির দর্শন করতে গেলে কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়:

মন্দিরের প্রবেশের আগে স্নান করে পরিষ্কার ধৌত বস্ত্র অথবা পূজার উপযোগী বিশেষ বস্ত্র পরিধান করতে হয়, এই ধরনের বস্ত্র পরিধানের আগে কিছু খাওয়া চলে না বা শৌচালয়ে যাওয়া চলে না। তবে জল পান করা যায়।

জুতো ও মোজা পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যায় না। কোমরবন্ধ, টাকাপয়সার ব্যাগ প্রভৃতি চর্মজাত দ্রব্য নিয়ে মন্দির চত্বরের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

 কোনও খাদ্যদ্রব্য মুখে রাখতে দেওয়া হয় না। জল পান করাও নিষিদ্ধ।

মন্দিরের মধ্যে যথাসম্ভব নীরবতা পালন করতে হয়।

মন্দিরের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এগুলি বন্ধ রাখতে হয়।


Archive

Most Popular

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ ও তার প্রতিকার..

30th Dec 2024

স্বাস্থ্য

ডাঃ দেবি প্রসাদ শেঠি

Read More
হৃদরোগ ঠেকাতে খেতেই হবে যে খাবার..

30th Dec 2024

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি

Read More