25th Nov 2024
ভ্রমণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
জৈন মন্দির হল জৈনধর্মের অনুগামীদের উপাসনালয়। ভারতের গুজরাত ও রাজস্থান রাজ্যে জৈন মন্দিরকে দেরাসর বলা হয়। জৈন মন্দিরকে বসডি নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই শব্দটি সাধারণত দক্ষিণ ভারত ও মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রচলিত। আবু পর্বতের বিমল বসহি ও লুনা বসহি মন্দিরের নামের মধ্যে উত্তর ভারতে বসডি শব্দটির ঐতিহাসিক ব্যবহারের প্রমাণ নিহিত রয়েছে। এই শব্দটি সংস্কৃত বসতি শব্দটি থেকে এসেছে। মন্দিরগুলি পণ্ডিতদের বাসস্থান ছিল বলে এই শব্দটি প্রযোজ্য হত।
কথিত আছে, পরেশনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরে আছে একটি ঘিয়ের পিদিম, যা একটানা ১৮৬৭ সাল থেকে জ্বলে আসছে। অহিংসা এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে এই পুণ্যশিখা চিরতরে প্রজ্বল্লমান থাকবে, তাই কাম্য। জৈন মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল, গুড় নিবেদন করা হয়। এছাড়াও সুখাদি নামে একরকম ঘি, আটা ও গুড় দিয়ে বানানো বরফির মতো প্রসাদ দেওয়া হয়।
পরেশনাথ মন্দির চত্বরে মোট চারটি মন্দির রয়েছে:
শীতলনাথজি মন্দির (মূলনায়ক: শীতলনাথ ভগবান)
চন্দ্রপ্রভুজি মন্দির (মূলনায়ক: চন্দ্রপ্রভুস্বামী ভগবান)
মহাবীর স্বামী মন্দির (মূলনায়ক: মহাবীর স্বামী)
দাদাওয়াড়ি (জৈন আচার্য জিন দত্ত কুশল সুরির পদচিহ্ন)
জৈন মন্দির দর্শন করতে গেলে কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়:
মন্দিরের প্রবেশের আগে স্নান করে পরিষ্কার ধৌত বস্ত্র অথবা পূজার উপযোগী বিশেষ বস্ত্র পরিধান করতে হয়, এই ধরনের বস্ত্র পরিধানের আগে কিছু খাওয়া চলে না বা শৌচালয়ে যাওয়া চলে না। তবে জল পান করা যায়।
জুতো ও মোজা পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যায় না। কোমরবন্ধ, টাকাপয়সার ব্যাগ প্রভৃতি চর্মজাত দ্রব্য নিয়ে মন্দির চত্বরের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
কোনও খাদ্যদ্রব্য মুখে রাখতে দেওয়া হয় না। জল পান করাও নিষিদ্ধ।
মন্দিরের মধ্যে যথাসম্ভব নীরবতা পালন করতে হয়।
মন্দিরের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এগুলি বন্ধ রাখতে হয়।