3rd May 2024
ভ্রমণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
বাংলার রূপে, বাংলার টানে। চিরদিন, চিরকাল। তবে কমন জায়গায় না গিয়ে এবার দেখুন একটু অন্য বাংলা।
ছিবো:
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়িতে যাওয়া যায় ছিবো। সরল গ্রাম্য পাহাড়ি গ্রাম। শান্ত পরিবেশে ক'দিন কাটান। পায়ে হেঁটে দেখে নিন দুরপিন্দারা ভিউপয়েন্ট। এখানে রয়েছে ছেংদং পালরি ফোব্রাং গুম্ফা। থাকবেন ছিবো ইন, ফোন: ৯৮৭৪৬১৩২৬৭। হোম স্টে, ফোন: ৯৬৭৪৩৬৯০৯৯।
সিটং:
শিলিগুড়ি থেকে বাসে মংপু, সেখান থেকে গাড়ি ধরে সিটিং। লেপচাদের এই গ্রামে কাটান অখণ্ড অবসর। পুরো গ্রামটি ঘিরে কমলালেবুর বাগান। রয়েছে খুব সুন্দর একটা গির্জা। চাইলে ট্রিকিং করে ঘুরে আসতে পারেন চটকপুর আর কালিঝোরা থেকে। থাকুন হোম স্টেতে, ফোন: ০৯৯৩২৩১৭২৯৯, ৯৮৩২৬৬৭৫৭০।
তুলাভিটা:
মালদহ থেকে বাস বা ট্যাক্সি করে জগজীবনপুর। সেখান থেকে তুলাভিটা হাঁটাপথ। বাংলাদেশের সীমান্তে পুনর্ভবা নদী তীরে তুলাভিটায় বৌদ্ধ পুরাকীর্তির নিদর্শন পাওয়া যায়। থাকার হায়গা খুব একটা নেই। ভোরে মালদহ থেকে বেড়িয়ে সেখানেই ফিরে আসতে হবে।
তন্দ্রাবুং:
শীতকালে অর্কিডে ছেয়ে যায় লেপচাদের এই গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর শান্ত পরিবেশে দিন কয়েক কাটাতে মন্দ লাগবে না। নিউ জলপাইগুড়ি কালিম্পং হয়ে পৌঁছানো যায়। থাকুন, লেপচা ইকো হাট, ফোন: ৯০০২১০৮৬১১।
ধোত্রে:
সান্দাকফু ট্রেকিং রুটেই পড়ে ধোত্রে। আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রাম যেমন হয় তেমনটাই। কিন্তু না, তাহলে ধোত্রে বেড়াতে যাবেন কেন? প্রথমত, এখান থেকে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার ফুল ভিউ পাবেন। পাখি ভালবাসলে চলে যান ধোত্রে। ট্র্যাকিং এরও সুযোগ আছে। দার্জিলিং থেকে ধোত্রের দূরত্ব ৪৩ কিলোমিটার। এটি সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল ফরেস্টের বাফার জোনের মধ্যে পড়ে। নাম না জানা হরেক পাখির দেখা পাবেন এখানে। নির্জনে, নিরিবিলিতে দিন কাটাতে যাদের ভালো লাগে তাদের কাছে ধোত্রে আদর্শ জায়গা।
মানেভঞ্জন পর্যন্ত এসে সেখান থেকে গাড়ি বদলেও ধোত্রে যাওয়া যায়। আবার সরাসরি এনজিপি ও বাগডোগরা থেকে গাড়িতে চলে আসতে পারেন ধোত্রে ।
তাকদা:
আপনি যদি দার্জিলিংয়ে যাবেন অথচ সেখানকার ভিড় গায়ে মাখবেন না তবে সবথেকে ভালো ডেস্টিনেশন হতেই পারে তাকদা। ইংরেজ আমলে এটি ছিল ব্রিটিশদের ছুটি কাটানোর একটি জায়গা। অপরূপ রূপবতী তাকদা। সামনে অপার বিস্তৃত চা বাগান। তার পেছনেই পাহাড়ের চুড়ো।