21st Dec 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

শিশুদের অ্যাস্থমার ঘরোয়া উপায়

14th May 2024

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি


শিশুদের অ্যাস্থমার ঘরোয়া উপায় 

শিশুদের অ্যাস্থমা সাধারণত ৫ বছর বয়সের মধ্যেই ধরা পড়ে। জন্মের সময় শিশুর ওজন কম থেকে থাকলে কিংবা ছোটবেলায় বারবার রেসপিরেটারি ইনফেকশন হতে থাকলে তাঁর এই রোগের আশঙ্কা বাড়ে। বাচ্চার অ্যাস্থমা থাকলে, তা স্কুলে জানিয়ে রাখুন। প্রতি বছর ফ্রি ভ্যাক্সিন আর নির্দিষ্ট সময়ে নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন দেওয়ান। ওষুধের ডোজ বাদ না পড়ে, সে দিকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

ঘরোয়া উপায়:

অ্যাস্হমার কষ্ট কমাতে কিছু ঘরোয়া কৌশল কাজে আসতে পারে।

* রাতের সময় অ্যাটাক আটকাতে, বালিশের পাশে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেলে ভেজানো তোয়ালে রেখে দিন।

* প্রতিদিন একবার এক বাটি গরম জলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ভাপ নিন।

* অ্যাস্থমা অ্যাটাক হলে, দিনে কয়েক বার, গরম জলে পাতলা কাপড় চুবিয়ে নিংড়ে নিন এবং তাতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ঢেলে শুকতে থাকুন, যতক্ষণ না কাপড়টি রুম টেম্পারেচারে আসছে। 

•এক কাপ গরম জলে আধ চামচ কালো জিরে তেল ও এক চামচ মধু মিশিয়ে সকালে জলখাবারের আগে ও রাতে ডিনারের পর খেতে পারেন, তবে টানা চল্লিশ দিন খেতে হবে।

* দিনে একবার গরম জলে অরিগ্যানো তেল মিশিয়ে ভাপ নিন।

* প্রথমে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিন বার খান। এবার আরও এক চামচ মধুর সঙ্গে আধ চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন।

* দু'সপ্তাহ, দিনে তিন বার করে এক গ্লাস জলে সিকি চামচ হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে খান।

•কষ্ট হলে এক কাপ গরম গরম কফি খান ।

•মাস খানেকের জন্য একটি করে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খান।

* এক কাপ গরম জলে এক চামচ আদাকুচি ভিজিয়ে এবং ছেঁকে নিয়ে, তাতে আধ চামচ মধু মিশিয়ে খান।

•প্রতিদিন আধ কাপ দুধে দশ বারো কোয়া রসুন ফুটিয়ে খান।

* রান্নায় তো বটেই, খাবারের সঙ্গেও কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া অভ্যাস করুন।

* এক কাপ জলে তিরিশ থেকে ৬০ ফোঁটা খেল্লা টিঙ্কচার মিশিয়ে দিনে তিন বার ও রাতে শোয়ার আগে এক বার খান।

সাবধানে থাকুন:
ট্রিগার এড়িয়ে চলুন। আবহাওয়া বুঝে, প্রয়োজনে বাড়িতেই থাকুন। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে অ্যালার্জি ভ্যাক্সিন নিয়ে নিন। বাড়ি, বিছানা ও পর্দা নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার করুন, যাতে ধুলো বা পোয্যদের লোম না থাকে। সম্ভব হলে ঘরে ডিহিউমিডিফায়ার ও এয়ার-কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। ঘরে কারপেট বা সফট টয়েজ না রাখাই ভাল। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই নাক-মুখ ঢেকে নিন। স্মোক-ফ্রি এরিয়ায় থাকার চেষ্টা করুন। প্যাসিভ স্মোকিং কিন্তু অ্যাস্থমা অ্যাটাকের অন্যতম ট্রিগার হতে পারে। কড়া গন্ধের পারফিউম বা হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন। স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তার শিকার হলে, ধ্যানের মতো রিল্যাক্সেশন টেকনিকের সাহায্য নিতে পারেন। নিদেনপক্ষে মনের পছন্দ মতো কোনও কাজ করুন বা গান শুনুন। নিজ স্বার্থে কাছের মানুষ এবং সহযোগীদের অ্যান্থনা অ্যাটাক ও তার প্রতিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাখুন। সালফাইট মিশ্রিত খাবার (যেমন- বোতলে ভরা জুস ও আচার, শুকনো ফল বা মেওয়া, ওয়াইন ইত্যাদি) না খাওয়াই ভালো|

Archive

Most Popular