6th Jun 2024
স্বাস্থ্য
শুচিস্মিতা পাত্র
অতিরিক্ত গরম আর রোদ্দুরের অতিবেগুনি রশ্মি শিশুদের কোমল ত্বকের ওপর নানান বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ঘামাচি, অন্যান্য র্যাশ ছাড়াও রোদের তাপে হাতে মুখে ট্যান পড়ে যায়। ত্বক ভাল রাখতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার কথা জানালেন সুশ্রী বিউটিপার্লারের বিউটি থেরাপিস্ট।
শিশুর কোমল ত্বক গরমের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাইরে গেলে তো বটেই খোলা বারান্দা বা ছাদে খেলা করলেও বাচ্চাদেরও উপযোগী সানস্ক্রিন লাগানো উচিত। রোদ্দুরে সান বার্ন আর হিট র্যাশ হলে ত্বকের ওপর কালচে ছোপ পড়ে যায়। এছাড়া ঘাম বসে পিট্রিয়াসিস ভার্সিকালার নামে একধরনের ছত্রাক ঘটিত সমস্যা দেখা যেতে পারে। আসলে গরমে খুব ঘাম হয় তো, ত্বকের ওপরে ঘাম জমে থাকে। তার ওপর জীবাণুরা আক্রমণ করলেই সমস্যার শুরু।
প্যাচপ্যাচে গরমে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস জাতীয় পরজীবীরা অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই চট করে সংক্রমণ হবার ঝুঁকি থাকে। তাই বড়দের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদেরও ত্বকেরও যত্ন নেওয়া আবশ্যক। একে একে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনার শিশুর ত্বকের যত্ন নেবেন। গরমে দিনে অন্তত দু'বার স্নান করানো উচিত। তবে ঠান্ডার লাগার ধাত থাকলে বুঝে স্নান করাবেন। স্নানের সময় মাইল্ড সাবান মাখিয়ে দিতে হবে।
স্নানের পর শুকনো করে গা মুছিয়ে নিয়ে হালকা ময়েশ্চারাইজার বা নারিকেল তেল মাখিয়ে দিতে হবে।
ঘাম জমলে ভিজে গামছা বা নরম তোয়ালে দিয়ে গা মুছিয়ে শুকিয়ে নিন।
ঘামাচি হলে ঠান্ডা ঘরে রাখার চেষ্টা করুন। বড় ঘামাচি হলে বরফ দিলে ভাল হয়। পাউডার লাগাবেন না।
ঘামাচি-সহ অন্যান্য সমস্যায় কাপড়ের মধ্যে বরফ নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় আলতো করে লাগাবেন। সমস্যা কমবে। স্কুল বা টিউশন যাওয়ার কারণে বা রোদে খেলাধুলো করলে বাচ্চার ত্বকে ট্যান পড়ার ঝুঁকি থাকে। এক্ষেত্রে তুলো দুধে ভিজিয়ে ট্যান হওয়া অংশে লাগিয়ে দিন। পাঁচ-সাত মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে দিলে ট্যান কমবে।
বেসন, হলুদ ও পাতিলেবু একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে লেই করে নিন। বাচ্চার ট্যান হওয়া অংশে মাখিয়ে রাখুন পাঁচ-সাত মিনিট। স্নানের আগে মাখালে ভাল। স্নানের সময় ঘষে ধুয়ে দিলে ট্যান কাটবে।
মাথায় ঘাম বসে স্ক্যাল্প ও চুলে বাজে গন্ধ হয়, চুল পড়ে যেতে পারে। তাই সপ্তাহে তিনদিন অন্তত মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে দিন। ত্বক চুল-সহ সামগ্রিকভাবে শিশুকে ভাল রাখতে লেবুর শরবত, ডাব, জল খাওয়ার অভ্যাস করান।