24th Jun 2024
ভ্রমণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
ট্রল এর থেকে খিল্লি বলতেই আমার বেশ লাগে। বাঙালিকে দিপুদা বলে ট্রল-এর যতই খিল্লি করুক, 'দিপুদা'র দা-য়ে কিন্তু সারা বিশ্বভুবন মাত। হলিউড, বলিউড, টলিউডের সকলেরই পছন্দ দা-এ দার্জিলিং। কত ছবিরই না শুটিং হয়েছে সেকাল থেকে একালে। পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে কি লাভ, সবাই সবকিছু জানেন। তবে একটি ছবির একটি গানের উল্লেখ করতেই হয়। 'মেরে সপনো কি রানি'। খেলনা ট্রেনে জানলার ধারে শর্মিলা ঠাকুর বসে আর পাহাড়ি পথে জিপে গান গাইতে গাইতে চলেছেন রাজেশ খান্না। অসাধারণ দৃশ্য। এই দৃশ্যে যেমন ছবির মুহূর্ত আছে, তেমনই আছে দার্জিলিঙের প্রকৃতি। বোঝা যায়, দার্জিলিংকে শুধুমুধু পাহাড়ের রানি বলা হয় না! রানি বলার যথেষ্ট কারণ আছে। আমাদের দেশে পাহাড়-পর্বত কম নেই, এল, অনেকই আছে। তাহলে দার্জিলিং আর মুসৌরিকে কেন পাহাড়ের রানি বলা হয়? তার কারণ, এই দুই পাহাড়ে যাতায়াতের পথে এত মনোরম দৃশ্য-দর্শন হয় যা ঠিক রানির মতো সুন্দর! দার্জিলিঙের বাড়তি সৌন্দর্য হল টয় ট্রেন যার বাংলা করলে খেলনা ট্রেন।
অনেক দূরের পাহাড় তো হল, এবার কাছাকাছি। আছে তো সবেধন নীলমণি। দার্জিলিং কম কিসে! একাই একশো। পাহাড়ের রানি বলে কথা। । দার্জিলিঙের উচ্চতা ৬৭০৯ ফুট। মেঘের রাজ্য দার্জিলিঙের এত নামডাক তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ১৯ চা আর টয় ট্রেন-এর জন্য। এখানকার খেলনা ট। রেল সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। আছে দার্জিলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ-মাধুর্য দর্শন আর টাইগার হিলের সূর্যোদয় দেখা। টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখা সারা জীবনের এক অভিজ্ঞতা! অপূর্ব এই চমৎকার দৃশ্য চোখে লেগে থাকবে চিরকাল।
টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখতে হলে লেপ-কম্বলের মায়া ত্যাগ করে অন্ধকার থাকতে থাকতে বেরিয়ে পড়তে হবে টাইগার হিলের উদ্দেশে | ভোরের ঠান্ডা হাওয়াকে সঙ্গী করে অপেক্ষামান থাকতে হবে কাঞ্চনজঙ্ঘার ওপর চমৎকার একটা সকাল মনের মণিকোঠায় ধরে রাখার জন্য। কখন সূর্যদেব দয়াপরবশ হয়ে দেখা দেবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। টাইগার হিলে তাকে দেখার জন্য মানুষ যে অপেক্ষমান, সে-খবর তো আর সূর্যদেবের কাছে নেই! তবে তিনি দেখা দিলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে সোনালি আভায় মাখামাখি কাঞ্চনজঙ্ঘা। দেখা
যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমোহিনী রূপ আরও একবার মনে করাবে সাহিত্য সম্রাটকে, 'যাহা দেখিলাম তাহা জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না'! যথার্থই, এমন দৃশ্য দেখার জন্য তো আমরা অপেক্ষা করে থাকি, পাহাড়ে আসি। দার্জিলিঙের টয় ট্রেনের পোশাকি নাম দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ আর বাঁক পেরিয়ে যাতায়াত করে ছোট্ট কয়লার ইঞ্জিন। তবে এখন ডিজেল ইঞ্জিন। শুধু 'জয় রাইড'টি কয়লার ইঞ্জিনের। যায় ঘুম পর্যন্ত। এই খেলনা ট্রেনটিই হল পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ, বড় ভালবাসার! বাতাসিয়া লুপ দার্জিলিং শহর থেকে কমবেশি পাঁচ কিমি। বাতাসিয়া লুপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও মুগ্ধ হতে হবেই।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার পোশাকি নাম পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান পার্ক। ৬৭.৫৬ একরের এই পার্ক হিমালায়ান পার্ক নামেও পরিচিত। এখানে আছে রেড পান্ডা, স্নো লেপার্ড, ক্লাউডেড লিওপার্ড, কালো ভালুক-সহ আরও অনেক বন্যপ্রাণ। দার্জিলিং যাবেন আর চা-বাগান দেখবেন না, এ হয় নাকি! ঘুরে আসুন দ্বিতীয় পুরনো চা-বাগান হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেট। প্রায় ১৭০ বছরের পুরনো এই চা-বাগান। এখান থেকে দেখা যায় দার্জিলিঙের প্যানোরোমিক ভিউ। দেখে নেওয়া যেতে পারে চা-পাতা থেকে চা- তৈরির প্রক্রিয়া। চা-পাতা কেনারও সুযোগ আছে।
দেখে নেবেন বেঙ্গল ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সপরিবারে ঘোরার চমৎকার জায়গা। সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসার জন্য সুন্দর বল ভার একটি জায়গা। আছে হিমালয়ান মাউন্টেননিয়ারিং ইনস্টিটিউট দেশের অন্যতম পর্বতারোহণ কেন্দ্র। এখানে পর্বতারোহণের শিক্ষা দেওয়া হয়। নিজে দি কিংবা বাড়ির কেউ পর্বতারোহণে উৎসাহী হন লে তাহলে খোঁজখবর করতে পারেন। এখান থেকে তা কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন ভীষণই নয়নাভিরাম!
অন্তু ঘুম মনাস্টেরি থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয় অপূর্ব! ঘুম মনাস্টেরি হল বৌদ্ধমন্দির বা মঠ। এর পোশাকি নাম ইগা চেওলিং মনাস্টেরি। তর উচ্চতা ৭৪০৭ ফুট। এই মনাস্টেরি তিব্বতি র্য, বৌদ্ধধর্মের গেলুগ শাখার বলে জানা যায়। মন মনাস্টেরিতে রয়েছে পনেরো ফুট লম্বা মৈত্রেয়বেয় বুদ্ধের মুর্তি। আছে বুদ্ধের শিষ্য চেনরেজি ও চোঙ্গাপার ছবি। ঘুমের তিনটি মনাস্টেরির ভিতর সবচেয়ে বড় এটি। ১৮৭৫-এ নির্মাণ করেছিলেন লামা শেরাব গ্যাতসো। এছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে দার্জিলিঙে। দার্জিলিংয়ের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হল দার্জিলিং রোপওয়ে বা কেবল কার। যার পোশাকি নাম রংগিত ভ্যালি কেবল কার। বহু পুরনো। দার্জিলিঙের আকাশপথে চলা শুরু ১৯৬৮-তে। বছর ৫৫ বয়স হল। তবুও যুবক এই রংগিত ভ্যালি কেবল কার বা রোপওয়ে। সিংহমারি নর্থ পয়েন্টে সেন্ট জোসেফ কলেজ। কলেজের বিপরীতে ওপর দিকে উঠে গেছে খাড়া সিঁড়ি, কয়েক ধাপ উঠেই বাঁ-দিকে রোপওয়ে বা কেবল কারের গেট, পাশেই টিকিট কাউন্টার।
গাড়োয়ালে অউলির কেবল কারে চড়ার অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে চড়ার মজা তো জানেনই। কিন্তু দার্জিলিঙের প্রকৃতির রূপসৌন্দর্য, রূপমাধুরী মন ভরিয়ে দেবে কানায় কানায়! ৩৬০ ডিগ্রিতে দেখতে পাবেন পাহাড়ের ঢালে চা বাগানে সবুজের সমাহার! তার রূপ-মাধুর্যে মোহিত হতেই হবে। আর যদি আকাশ তার নীল মুক্ত করে দেয় তাহলে তো মজার শেষ নেই! দৃষ্টিতে ধরা দেবে বরফাচ্ছন্ন কাঞ্চনজঙ্ঘা আর তার চারপাশে ভয়ংকর সুন্দর সব দৃশ্য! ভাল করে নজর দিলে দেখবেন চা-বাগানে দু'টি পাতা একটি কুড়ি তুলতে ব্যস্ত চা-শ্রমিকেরা। তবে মনে রাখবেন, কেবল কারে বসে দাপাদাপি করবেন না। চুপচাপ বসে রূপকথার প্রকৃতির রূপসৌন্দর্য উপভোগ করবেন। নেমে উচ্ছ্বাস দেখাবার প্রচুর সময় সুযোগ পাওয়া যাবে। এছাড়াও আছে তিস্তায় রিভার রাফটিং আর ট্রেকিং। যাঁরা ট্রেকিং বা হেঁটে ঘুরে মজা নিতে আর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাঁদের জন্য একাধিক ট্রেকিং রুট আছে। তার ওপর আছে ক্যাম্পিংয়ের বাড়তি মজা! প্রাকৃতিক রূপ-মাধুর্যের রাজ্য দার্জিলিং। এখানে মানুষ আর প্রকৃতি মিলেমিশে একাকার। পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট জনপদ ত আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। দার্জিলিং প্রাকৃতিক -- সৌন্দর্যের ভাণ্ডার! হিমালয়ের কোলে রূপকথার মেঘমুলুক পাহাড়ের রানি দার্জিলিং। কেউবা বলে অপরূপা পাহাড়িকন্যা। দার্জিলিং হল একটুকরো র স্বর্গ। হিমালয়ের কোলে মেঘ-চাদরে আবৃত স্বপ্নালু অ ত এক পাহাড়ি শহর! দিন ছয়-সাত না-থাকলে এ মায়াবী শহর দার্জিলিঙের মোহময়ী রূপে মুগ্ধ হওয়া যায় না!
তাহলে ঠিক হল আট-দশদিনের গরমের ছুটি কাটাতে দার্জিলিংই ফাইনাল। তাই দু'চারটে - জায়গার কথা জানিয়ে রাখি দার্জিলিঙের আশপাশের। যা প্রকৃতিপ্রেমীদের ভাল লাগবে। সব জায়গাগুলোই ২৫-২৭ কিমি'র ভিতর। শুধু লাটাগুড়ি ছাড়া। অনেকেই বায়না ধরেছেন, ধরেছে লাটাগুড়ি হয়ে গরুমারা অরণ্য ঘুরবে। ফেরার পথে লাটাগুড়ির বিখ্যাত ক্যাডবেরি চমচম খাবে। নিয়ে আসবে বাড়ি।
দার্জিলিং থেকে ২১ কিমি লামাহাট্টা। রোম্যান্টিক জায়গা। প্রায় সাতহাজার ফুট উচ্চতায় চমৎকার শান্ত গ্রামটি পাইন অরণ্যে ঘেরা। অপূর্ব অর্কিড আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য সৌন্দর্য বাড়িয়েছে লামাহাট্টার!
একুশ কিমি দূরের চটকপুরকে তালিকায় না- রাখলে ভ্রমণ অপরাধ বলে গণ্য হবে। প্রায় আটহাজার (৭৮৮৭) ফুট উচ্চতায় চটকপুর রূপকথার মতো এক পাহাড়ি গ্রাম! রানির মতো অপরূপা। এখানকার রাজকীয় সৌন্দর্য চোখের আরাম! প্রতিটি পদক্ষেপে মুগ্ধ না-হয়ে উপায় নেই। চটকপুরে গভীর অরণ্যের সঙ্গে মিশে আছে বরফাবৃত পাহাড়ের রোমাঞ্চকর দৃশ্য! এখানকার পাহাড়ি পথে পায়ে পায়ে রোমাঞ্চ! প্রকৃতি এবং পক্ষীপ্রেমীদের কাছে আদর্শ জায়গা চটকপুর। মানভঞ্জন-এর দূরত্ব ২৫ কিমি। উচ্চতা সাত হাজারেরও বেশি। আমাদের রাজ্যের সর্বোচ্চ জাতীয় উদ্যান। অর্থাৎ ন্যাশনাল রিজার্ভ ফরেস্ট সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশপথ। বড়ই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। চমৎকার জায়গা। এখানেই দেখা যায় দুষ্প্রাপ্য বন্যপ্রাণ রেড পান্ডা।
এখান থেকেই হাঁটাপথ চলে গেছে সান্দাকফু। লেপচাজগৎ চোদ্দো কিমি। উচ্চতা প্রায় সাতহাজার ফুট। অন্যান্য জায়গার থেকে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম এখানে। লেপচাজগতের সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে রূপ-মাধুর্যের ডালি! এখান থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ মাধুর্য! এক এক সময় মনে হয়, লেপচাজগতের কোথাও যদি একটি ঢিলও পড়ে তাহলে গমগম শব্দে কেঁপে উঠবে পুরো জগতটাই! এতটাই মনোরম শান্ত, নিরিবিলি লেপচাজগৎ!
মিরিকের দূরত্ব সামান্য বেশি। কমবেশি ৪০ কিমি, ঘণ্টা দুইয়ের জার্নি। মিরিক হল চোখ আর মনের আরাম। চারিপাশে পাহাড়, মাঝে লেক! লেকের ধারে বসে, কিংবা বোটিং করতে দারুণ লাগে! সময় কেটে যাবে তরতর করে। একসঙ্গে অনেককিছু দেয় মিরিক। তাই মিরিক ভ্রমণপিপাসুদের কাছে স্বর্গরাজ্য! তবে মিরিকে ভিড় মনে হলে চলে যান ১৮ কিমি দূরে বুনকুলুং। বুনকুলুংয়ের দিগন্তবিস্তৃত সবুজের সমারোহ মন আর চোখকে স্নিগ্ধ করে, আরাম দেয়। এখানে চা-বাগান এবং চাষের জমির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। শীতের বাতাসে ছড়িয়ে যায় কমলালেবুর সুগন্ধ। গরমে শীতের দিনের কথা ভেবে লাভ নেই। তবে বুনকুলুংয়ের বাতাসে পাহাড়ি সুগন্ধি ছড়িয়ে থাকে! দিন গড়িয়ে রাত নামলে পরিবর্তন হয় রূপের। বুনকুলুংয়ের রাত্রির রীতিমতো মোহিনী রূপ। রাত্রির নিস্তব্ধতায় দূরে কার্সিয়াং পাহাড়ের ঘর-বাড়িতে জ্বলে ওঠে টিপ-ছাপ আলো, তখন অপরূপা সুন্দরী হয়ে ওঠে বুনকুলুং! হৃদয় গভীরে ঝড় ওঠে, জন্ম হয় অজানা এক রোমাঞ্চের!
আর নয় পাহাড়। এবার অরণ্যে। লাটাগুড়িতে দু'একটি রাত কাটাতে ভালই লাগবে। চমৎকার জায়গা। এখানকার আবহাওয়াও বেশ ভাল। দু'এক পশলা হয়ে গেলে আরও ভাল। লাটাগুড়ি এসে না-খেয়ে যাওয়াটা চরম বোকামি। কিন্তু খাদ্যটা কি? এখানকার স্পেশাল চমচম। মিষ্টিরসিকদের কাছে খুবই স্পেশাল। চমচমের ভিতর দেওয়া থাকে ক্যাডবেরি। চমচম বেশ বড়। এক একটির ওজন আধা থেকে এক কেজি। মিষ্টি খেয়েই রওনা দেওয়া যাক গরুমারা জাতীয় উদ্যন। মিনিট বিশেকের জার্নি। মাত্র ছ'কিমি। শিমুল, শিরিষ, কাটুস, বহেরা ইত্যাদি গাছগাছালির অরণ্যে গন্ডার, বাইসন আর হাতির জন্য গরুমারা অভয়ারণ্যের বেশ নামডাক। ১৯৭৬-এ পায় অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি আর ১৯৯৪-এ পেল জাতীয় উদ্যানেরশিরোপা।
- বনবাংলোর পাশেই রাইনো পয়েন্ট নজরমিনার। - নদীর পাড়ে ঘাসজমি। সবুজএ সবুজ হয়ে আছে। শুধু বন্যপ্রাণ নয়, পাখি দেখারও স্বর্গরাজ্য গরুমারা। সবমিলিয়ে নাগরিক জীবনের অরণ্যের দিনরাত্রি।
নুন চাটতে সল্টলিকে আসে গন্ডার, বাইসন, এ হাতি। বনবাংলো থেকে পা কিছুটা লম্বা করলেই যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচটাওয়ার। ওপর থেকে চোখে পড়ে নীচে মূর্তি নদী আর বিস্তৃত চারণভূমি। । হরিণ, হাতি, গন্ডার, বাইসন-সহ বন্যপ্রাণ ঘুরে বেড়ায়। কম যায় না ময়ূরের দল, তারাও ঘোরে ময়ূরী সঙ্গে। অরণ্য আর পাহাড়ে এলে সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হয় বাইনোকুলার। নই অনেককিছু দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়। গরুমা কিংবা লাটাগুড়ি থেকে মিনিট ৪০-৫০-এর র চুকচুকি ঝিলের ধারে চুকচুকি ওয়াচটাওয়ার এখন ঝিল সংস্কার হয়েছে। প্রচুর পাখি। শীতে আরও বেশি পাখি। যাকে বলে পাখির স্বর্গরাজ্য! পাখিদের রাজপ্রাসাদ হল দিগন্ত বিস্তৃত ঝিল, নৌকা করে পাখি দেখার সুযোগও আছে। দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের সর্বত্র বেড়ানোর জন্য যোগাযোগ: হেল্প টুরিজম, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, যোগাযোগ: মোবাইল: 09733000447