25th Jul 2024
সাহিত্য
সোমা ব্যানার্জি
নিশুতি রাত নেমেছে চরাচর জুড়ে। গাছপালার সবুজ এখন রাতের কালিমা আর জ্যোৎস্নার নি রুপোলি মেখে কেমন কালচে দেখায়। আকাশে চাঁদ মাঝে মাঝেই ঢেকে যাচ্ছে টুকরো মেঘে। আবার মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে। অনেকটা দূরে মাঠের মাঝে সরীসৃপের মতো যে রেললাইন দিগন্তে হারিয়ে গেছে সেই লাইনের ওপর দিয়ে ঝমঝম শব্দ করে একখানা ট্রেন চলে গেল। দূরে চার্চের ঘড়িতে ঢং করে একটা ঘণ্টা বাজলো। রাত তার মানে একটা বাজে। বিছানায় শুয়ে কেমন এক অস্বস্তিতে ঘুম ভেঙে গেলো ঈশিতার। একেই এখানে সে নতুন, এমনিতেই ঘুম আসতে চায় না। যদিও বা এলো তাও এই মাঝরাতে ভেঙেও গেল। একটু উশখুশ করেই কারণটা বুঝতে পারলো সে। কারেন্ট চলে গেছে, মাথার ওপর ফ্যান ঘোরা বন্ধ হয়ে যেতেই ঘুম ভেঙে গিয়েছে। খানিক এপাশ ওপাশ করলো সে। উঠে টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে জল গলায় ঢালতে যাবে সহসা হুঁ... ই.... হুঁ করে অপার্থিব কান্নার আওয়াজে কেঁপে উঠলো, জল ছলকে পড়লো মাটিতে। কে কাঁদে এতো রাতে এমন করে! ভয়ে ভয়ে জানলা দিয়ে বাইরে তাকালো ঈশিতা। বাইরে বাঁশ ঝাড়, ঘন গাছপালা পেরিয়ে দৃষ্টি বেশিদূর যায় না। গাছগুলো যেন হালকা চাঁদের আলোয় কি এক রহস্যময় জগতে ডুবে আছে। ঈশিতার মনে হচ্ছে ঝিম ধরা আঁধার থেকে কারা যেন তাকিয়ে আছে তার দিকে এক দৃষ্টে। আজন্ম শহরে মানুষ হওয়া ঈশিতা কর্ম সূত্রে সবে এসেছে এই আধা মফস্বলে। আজই তার একা বাড়িতে প্রথম রাত্রি বাস। আবার সেই কান্নার শব্দ। বাড়ির পাশের জঙ্গুলে জায়গাটা থেকেই যেন আসছে শব্দটা। খানিক সাহস করে এগিয়ে জানলার পাল্লাটা ভেজিয়ে দিয়ে বিছানার দিকে ফিরছে সে, এমন সময় ফ্যান ঘুরতে শুরু করলো। কারেন্ট এসে গেছে। এক লাফে ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিলো ঈশিতা। ইলেকট্রিকের জোরালো আলো ছড়িয়ে পড়লো ঘরে। বাইরের ব্যালকনির আলোটাও জ্বালিয়ে জানলাটা আস্তে আস্তে ফাঁক করলো সে। আলোয় অনেকটা সাহস ফিরে এসেছে। গাছের দিকে টর্চের আলো ফেলতেই প্রথমে দুটো চোখ চকচক করে উঠলো তারপর ডানা ঝটপট করে উড়ে গেলো একটা বেশ বড় আকারের পেঁচা। ওহ, কান্না নয় এনার ডাককেই কান্না বলে মনে হয়েছিল তবে। নিজের ভয়ে নিজেই হেসে ফেললো ঈশিতা। ভয় কি তবে বাস করে মানুষের মনে। অন্ধকারের থেকেও বেশি ভয় দেখায় আলো আঁধারির খেলা। আমাদের চোখে যা রহস্যময় ঠেকে, শিহরণ জাগায় তাই বোধ হয় সৃষ্টি করে ভয়ের। তবে এক সময় গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে হাজারো ভূতের আনাগোনার কথা বেশ জাঁকিয়ে বিরাজ করত।
আজকের উন্নত পৃথিবীতে এতো আলো, উচু সব বাড়িঘর, নগরায়নের দাপটে আলো আঁধারিতে ঘেরা গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে থাকা ভয় এখন যেন মুখ লুকিয়েছে তবে বেশ কিছু বছর আগে কিন্তু এমনটা ছিল না। তখন গাছপালা ঘেরা গাঁয়ে গঞ্জের গল্প বা লোকমুখে প্রচলিত কাহিনীতে সন্ধ্যে নামলে কি ঘনঘোর বর্ষায়, গ্রীষ্মের খা খা দুপুরে কিংবা শীতের জমাটি রাতে দাপটে দাপিয়ে বেড়াতো হরেক রকম ভুতের দল, মানুষ সে সব যথেষ্ঠ বিশ্বাসও করতো।
বাংলার ছোটছোট ছেলেমেয়েরা একসময় সন্ধ্যে হলে লণ্ঠন কি কুপির ঝিম ধরা কাঁপতে থাকা আলোয় মা, ঠাকুমার গা ঘেঁষে বসে ভূতের গল্প শুনতো। বৃষ্টির রাত জমে উঠতো মুড়ি, তেলেভাজার সঙ্গে ভূতের হাড় হিম করা গল্পের যোগ্য সঙ্গতে। গ্রামের পুরোনো শ্মশান, বাঁশঝাড়, পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়ি, পুকুর ছুঁয়ে উঠে আসা হু হু বাতাসে ভেসে বেড়াতো একানড়ে, মামদো, বেহ্মদত্যি, পেত্নী, শাকচুন্নি আরো কত শত দেশি ভূতের নাম।শুধু তো গ্রাম বাংলার মুখে প্রবাহমান গল্প কথায় নয় এসব ভূতপ্রেত একসময় বাংলার তাবড় সাহিত্যিকদের কলমে ভর করে ছোটদের এমনকি বড়দের সাহিত্যেও দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বর্তমানে অবশ্য নিখাদ ভূতের গল্পের রকমসকম অনেক পাল্টেছে যুগের। গতির সঙ্গে তাল রেখে। তবু আজও ঘনঘোর বর্ষায় কি শীতের লেপের ওম জড়িয়ে বাংলার দেশি এসব ভূতের গল্প সমান প্রাসঙ্গিক। এবার তবে আসি এই সব ভূতেদের রকমফেরের কড়চায়:
ব্রহ্মদত্যি: ভূতেদের রাজ্যের কুলীন সদস্য ইনি। কথিত আছে, হিন্দু ব্রাহ্মণ প্রেতযোনি প্রাপ্ত হলে ব্রহ্মদত্যি হ'ন। এরা বেলগাছে থাকে। বর্ণনায় জানা যায় এদের পায়ে খড়ম কখনও কখনও হাতে ত্রিশূলও থাকে। আমাদের সমাজে যেমন বিয়ে, পৈতে যাই হোক না কেন ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের ডাক পরে তেমনি ভূতের গল্পে ভূত পেত্নীর বিয়েই হোক কি ভূতের বাবার শ্রাদ্ধ সবেতেই ব্রহ্মদত্যির আসনখানি পাকা।
শাকচুন্নি: আমাদের সমাজে যেমন ছেলে হোক কি মেয়ে সিঙ্গল বা বিবাহিত স্ট্যাটাস আলাদা তেমনি ভূতেদের সমাজে ছেলেরা অত কিছুর ধার ধারে না কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে ওসব চলবে না। মেয়ে ভূত যারা মানুষ জন্মে অবিবাহিত অবস্থায় প্রেতযোনিতে পৌঁছেছে তারা শাকচুন্নী নামেই পরিচিত। নিবাস ঝুপসি গাছপালায়, শ্যাওড়া গাছে। গল্প কথায় জানা যায় যুবক ভূতের দলে এদের নিয়ে বেশ গুঞ্জন রয়েছে।
পেত্নী: শাকচুন্নি তো সিঙ্গল মেয়ে ভূত। আর পেত্নী হলো সেই সব মেয়ে ভূত যারা বিয়ের পর প্রেত যোনি প্রাপ্ত। এরাও জঙ্গলে, গাছপালায় থাকে। গল্পে এদের লাল পেড়ে শাড়ি, মাথায় সিঁদুর থাকবেই।
ডাইনি: মেয়ে ভূতেদের কথাই যখন হচ্ছে তখন ডাইনি বাদ যায় কি করে। এরাও মেয়ে ভূতই তবে ভারী মোহিনী স্বভাবের। ইচ্ছে মত সুন্দরী নারীর রূপ ধরতে সিদ্ধহস্ত। সুন্দরী নারীর রূপে একলা পুরুষ মানুষকে ভুলিয়ে তার রক্ত চুষে খাওয়াই হোক কি বাচ্চাদের রক্ত চুষে খাওয়া সব কিছুই করে থাকে। এদের নজর পড়লে সদ্য মা, দুধের শিশু এমনকি গাছপালা, পশুপাখিও নিস্তার পায় না। মূলতঃ মনে করা হয় ডাকিনি কথাটির থেকেই ডাইনি কথার উৎপত্তি। তবে তন্ত্রের যোগিনী ডাকিনি আর গল্প কথার ডাকিনি ঠিক এক নয়।
মোহিনী নারীর প্রেত যোনি যেমন ডাকিনি বা ডাইনি তেমনি গ্রাম বাংলার টাঁড় ডাঙ্গার শুকনো বাতাসে ভেসে বেড়ায় আরেক ধরণের ডাইনির কথা। যারা মানুষ সমাজেই বাস করে কিন্তু গোপন বিদ্যার চর্চা করে। পূর্ণিমার রাতে নাকি এরা চারমাথার মোড়ে সাদা কাপড় পরে একত্রিত হয়। কিছুটা বিদেশি উইচক্রাফট এর মত ব্যাপার। তবে এই ব্যাপারটি কুসংস্কারের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে রয়েছে। তাই কাউকে ডাইনি ভেবে তাকে শাস্তি দেওয়া বা সমাজ ছাড়া করা গর্হিত, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বর্তমানে এর বিরুদ্ধে শুভচেতনা সম্পন্ন মানুষ জনমত গড়ে তুলেছেন।
একানড়ে; গ্রামবাংলার প্রাচীন ভূতের গল্পে এদের দেখা মিলতো। মূলত বাঁশ বনে বা পুরোনো তাল গাছে থাকে। শুধু একানড়ে নয় এর মা এবং খুড়ির কথাও গল্পে শোনা যায়: আমি একানড়ের খুঁড়ি ভাঁড়এক হাঁতে নুনের এক হাঁতে ছুঁরি। এখন ছন্দ মেলানোর জন্যেই একানড়ের মা খুড়ি হয়ে যায় কি না জানা যায় না। এদের হাতে ছুরি আর নুনের ভাঁড় থাকার কারণে রাতবিরেতে বাচ্চা ছেলেমেয়ে পেলে এরা নরম চামড়া ছুরি দিয়ে কেটে নুন মাখিয়ে খায়। একেবারে ছোটদের ভূতের গল্পে এদের দেখা মেলে।
গেছোভূত: নামেই এদের পরিচয়। জঙ্গলে, আপাত সূর্যের আলো যেখানে কম পৌঁছায় সেই সব জায়গায় গাছে থাকে। তবে এই নগরায়নের যুগে এতো গাছ কমে যাচ্ছে এরা কি অবস্থায় আছে তা এরাই জানে।
মেছোভূত: মাছ প্রিয় বাঙালির ভূতের গল্পে কল্পনায় মাছ থাকবেনা তাও কি হয়। এদের পরিচয়ও নামেই। এরা অসম্ভব মাছ প্রিয়। একা ভর দুপুরে বা রাতে কাঁচামাছ হাতে কাউকে পেলেই পিছু নেয়। হাত থেকে বা খলির থেকে মাছ গায়েব হয়ে যায়। অথবা খোনা গলায় আওয়াজ শোনা যায় মাছ দিয়ে যাওয়ার জন্য।
আলেয়া: জলার ধারে, গ্রামের পুকুর পাড়ে রাতের বেলা দপ করে আলো জ্বলে উঠতে দেখলেই আগেকার দিনে লোক বলত আলেয়া। অবশ্য একহীন যে কোনও ছোট বাচ্ছাও এসবে আর ভয় পায় না। বরং 'স্মার্ট উত্তরে জানিয়ে দেয় ওসব পচা পাতা গোবর ইত্যাদির গ্যাস থেকে আলো জ্বলে ওঠে। বিজ্ঞান এত উন্নতি করলে এসব ভূতপ্রেত কোথায় গিয়ে দু দন্ড বাঁচে বাপু!
কানাভুলো: এরা ভারী জিলিপির মত প্যাঁচালো স্বভাবের ভূত। ভর দুপুরে হোক কি নিঝুম রাতে একলা পথিককে অজানা জায়গায় এমন ভাবে দিকভ্রষ্ট করে যে সে একই জায়গায় বারবার ঘুরে মরে। কিছুতেই পথ খুঁজে পায় না। অনেক সময় পুকুরে বা জলাশয়ে পড়ে বেঘোরে প্রাণ ও যায়।
মামদো: ভূতের জগতেও জাতপাত বিদ্যমান। মামদোরা মুসলমান পুরুষ ভূত। বহু বাংলা ভূতের গল্পে এদের কথা রয়েছে। কন্ধকাটা: এদের পরিচয় ও নামেই। এরা মুণ্ডুহীন প্রেতাত্মা। কেউ কেউ আবার জীবৎকালে খোওয়া যাওয়া মুণ্ডুটি লোককে ভয় দেখাতে ইচ্ছেমত খোলাপরা পরে। এমনকি মুন্ডু নিয়ে গেন্ডুয়া খেলেও থাকে। পেঁচাপেঁচি: এরা এক অদ্ভুত ধরনের ক্ষতিকর ভূত। সাধারণত পেঁচার রূপ ধরে থাকে। রাতের দিকে জঙ্গলের পথে কোনও পথিককে দেখলে তার পিছু নেয়। তারপর গভীর জঙ্গলে নিয়ে ফেলে তাকে মেরে ফেলে। নিশি: ভূতেদের মধ্যে এই শ্রেণির কার্যকলাপ সাংঘাতিক। নিশি গভীর রাতে মানুষকে তার চেনা কারো গলায় ডাক দেয়। সেই ডাকে সাড়া দিলেই হয়ে গেল। সম্মোহিতের মত মানুষটি নিঝুম রাতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ে। তার আর খোঁজ পাওয়া যায় না। আবার কোনও কোনও কাহিনী এও বলে এটি একরকম তছ ক্রিয়া। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগীকে ভালো করার জন্য তান্ত্রিক একটি ডাবের। খোলা কেটে সুস্থ মানুষের আত্মাকে বন্দি করে নিয়ে যায় নিশি ডেকে। ঘটনার সত্যতা যাই হোক, এইকারণেই গ্রাম দেশে রাতে পরপর। তিনবারের বেশি ডাকলে তবেই সাড়া দেওয়ায় রেওয়াজ রয়েছে রাতের বেলা কারণ নিশি নাকি দুবারের বেশি ডাকে না।
এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রকম বাস্তুভূত যেমন চন্ড, কালপুরুষ প্রভৃতি। বহু পুরনো বস্তু ভিটেতে কালপুরুষের প্রভাব থাকে। আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায় বাস্তুর সমস্ত শুভত্ব। ধনসম্পদ আগলে রাখার জন্য হাড়কিপ্টে মানুষ প্রেতযোনিতে পৌঁছেও নিজ স্বভাব ত্যগ করতে না পেরে যক্ষ হয়ে সম্পদ আগলে বসে থাকে। এদের চলতি কথায় যখ বলে। ছোট শিশুর ভূত রয়েছে প্রেতাশিনী। এদের আবার কালুয়া ও বলা হয়। রয়েছে নানা পশুর প্রেতযোনি। প্রাপ্ত আত্মা যেমন বেড়ালের মেছুয়া ভূত, গোরু মরলে গোমুয়া, বাঘের বাগেয়া ইত্যাদি। আবার বাঘের আক্রমণে নিহত মানুষ ও প্রেত যোনি প্রাপ্ত হয়ে জঙ্গলে অন্য মানুষকে সঙ্গী হওয়ার জন্য হাতছানি দিতে থাকে।
মোটামুটি বাংলা সাহিত্যে, লোককথায় নানা প্রজাতির ভূতের এক জমজমাট সাম্রাজ রয়েছে। বিশ্বায়ন, বিজ্ঞানের চমকপ্রদ উন্নতি সর্বোপরি নগরায়ন, ইলেক্ট্রিসিটি ইত্যাদির জ্বলজ্বলে রোশনাইয়ে গ্রামবাংলার সেইসব আঁধার ঘেরা বাঁশবন, গা ছমছমে বর্ষায় লণ্ঠনের আলোয় দেওয়ালে দুলতে থাকা দীর্ঘ ছায়ার কারিকুরি, রহস্যময় জগত সবই হারিয়ে গেছে। আলোকময় জগতে কোথায় মুখ লুকিয়েছে সেই সব গা ছমছমে ভূতের দল। মানুষ আজ অনেক আলোকপ্রাপ্ত, কুসংস্কার মুক্ত। কিন্তু ভূত তবে আসলে কি। আমাদের মনের ভয়ের রাজ্যে তার বাস নাকি সত্যিই মৃত্যুর পর মানুষের যে অস্তিত্ব কায়াহীন রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে যায় সে-ই তার ফেলে যাওয়া কামনা, বাসনা নিয়ে হাজির হয় মানুষী অস্তিত্বের এই সংসারে। এ রহস্যের সমাধান হওয়া বড় মুশকিল। কারণ মৃত্যুর ওপারের রাজ্যে কি আছে তার সবটাই প্রায় অনুমান। আর অজানা অনুমান বলেই এত রহস্যময়তা সেই জগৎ আর তার বাসিন্দাদের ঘিরে। রহস্য থাক তার আদিম ডানা ছড়িয়ে কারণ ভয়ও আমাদের স্বাভাবিক অনুভূতি। ঝিরঝিরে বর্ষার রাতে কি শীতের লেপ মুড়ি দেওয়া সন্ধ্যায় টিমটিমে আলোয় জেগে থাক ভূতেদের গা ছমছমে সব গল্প।