1st Oct 2024
বাড়িঘর
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী বর্ষে ২০২৪ এর শারদোৎসবে শিল্পী স্বরূপ নন্দীর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই পুজো কমিটির থিমের নাম সব চরিত্রই কাল্পনিক।
শিল্পীর ভাবনায়, রূপের এই প্রদীপ জ্বেলে কি হবে তোমার এই লাইনটি শুনে আমার মনে হয় যে কবি অভিমানে, স্বপ্নে বা রূপ-কল্পে নারীকে রূপের অহংকার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন। আসলে ঈশ্বরের সৃষ্টি বা বায়োলজিক্যাল কারণে রূপের তারতম্য। মানুষের রূপ তো অন্তরের প্রকাশ। আমরা সবসময় নিজের মা কে সুন্দর রূপে ভাবতে পারি। সবার মা তার নিজের সন্তানের কাছেই শ্রেষ্ঠ সুন্দর। সেই মাতৃত্বের কোন প্রতিদ্বন্ধী হয় না। সেই মাতৃত্বের কোন অনুরূপ হয় না এটাই চিরন্তন। সর্বকালের জীবজগতে তার ব্যক্তিক্রম নেই। বাঙালি সেইরকমই তার শ্রেষ্ঠ উৎসবে তার মুখ্য চরিত্রের দেবী দুর্গাকে কখনো প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে অন্য কোন রূপে দেখতে চায় না।
পুজোর অঙ্গনে শিল্পীর নান্দনিক উপলব্ধি নিয়ে দেবীর উপস্থিতি। আমাদের চাওয়া-পাওযা, সব দুঃখ-কষ্ট, দৈন দশার মুক্তির জন্য প্রার্থনা এই দেবীর কাছে। সাবেকি হোক বা আধুনিক শিল্পীর প্রকল্পের মাতৃ রূপ তা সত্যিই আনন্দে আত্মহারা করে আমাদের। সাধারণত আমরা বিচার করি বাহ্যিক পোশাকের পরিচিত থেকে। কর্মের ভেদাভেদ বা ধর্মীয় ভেদাভেদ দূর্বিসহ করে তোলে সামাজিক পরিস্থিতিকে। আমরা কি মানুষের প্রতি একটু সহনশীল হতে পারি না? আসুন আমরা নারী মানবীর রূপের দেবী রূপের অবস্থান উপলদ্ধি করি, একটু সম্মান দেখিয়ে সব নারী চরিত্রকেই কাল্পনিকভাবে দেবীর রূপে রূপান্তরিত করে নারীকে সুরক্ষিত রাখি।
এই নারীই আমাদের দেবী রূপে আমাদের মঙ্গল করুক, সমাজের মায়েদের সুসংগঠিত করুক তাদের সন্তানদের সঠিক পথে চালিত করতে ও মানুষ মানুষকে সম্মান করুক। তার শুধু রূপের নয় অন্তরের অন্তস্থল থেকে জায়গা করে দিক কর্ম এবং সকলে সেই কর্মের সম্মান করি। সমাজের কাছে এইটুকুই বার্তা দিয়ে যাই একটু সম্মান, একটু শ্রদ্ধা মানুষ মানুষকে আরো সমৃদ্ধ করবে। সমাজকে সুস্থ রাখবে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে। মানুষ মানুষের পাশে থাকবে। এই অঙ্গীকার নিয়ে দুর্গাপুজোয় ব্রতী হয়েছে বাঘাযতীন বিবেকানন্দ মিলন সংঘ। এই উপস্থাপনায় নান্দনিকতার উপলদ্ধি শুধু নয়, বার্তা দিক শ্রদ্ধা, সম্মান, স্নেহ, ভালোবাসা, অনুভূতি ও নিশ্চিত জীবনের। এই মানব জীবনের জন্ম সার্থক হোক।
তুমি দেখো নারী পুরুষ, আমি দেখি শুধুই মানুষ।
ভালোবাসার জীবন গড়ে, সুখী আমার এই বিধাতা।