2nd Oct 2024
প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি
মহাপঞ্চমী নবরাত্রি উদযাপনের পঞ্চম দিন। এই দিনে ভগবান স্কন্দের মাতা দেবী স্কন্দমাতার পূজা করা হয়। মহাপঞ্চমী কেন পালিত হয়? হিন্দু পুরাণ অনুসারে, মহাপঞ্চমী পালিত হয় কারণ ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পঞ্চম দিনে, দেবী দুর্গা কর্তৃত্ব লাভ করতে শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত অসুর মহিষাসুরকে বধ করেন।
দেবী স্কন্দমাতা চতুর্ভুজা। তাঁর ওপরের দুই হাতে থাকে পদ্মফুল। আর, নীচের একহাতে তিনি স্কন্দ বা কার্তিকেয়কে ধরে রাখেন। অন্য হাত থাকে বরযুক্ত মুদ্রা বা আশীর্বাদসূচক ভঙ্গিমায়। দেবী পদ্মাসনা রূপে থাকলেও, তাঁর বাহন সিংহ সঙ্গেই থাকে। দেবীর কোলে থাকে স্কন্দ বা শিশু কার্তিক। যাঁর হাতে থাকে তির-ধনুক। কিন্তু, তাঁর মুখ তথা মাথা ছয়টি। দক্ষিণ ভারতে অবশ্য এই কার্তিকেরই উপাসনা হয়। সেখানে দেবসেনাপতি কার্তিককে বলা হয় মুরুগান। দক্ষিণ ভারতে অনেকে আবার কার্তিককে ডাকে সুব্রহ্মণ্যম নামে।
শিবপুরাণের রুদ্রসংহিতা কুমার খণ্ড অনুযায়ী, মহাপরাক্রমী অসুর তারকাসুরকে বধ বা হত্যা করতেই দেবসেনাপতি কার্তিকেয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তারকাসুর অত্যন্ত অত্যাচারী হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর অত্যাচারে মুনি-ঋষি থেকে দেবতা, সকলেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। শিবের যাতে সন্তান না-হয়, সেজন্য তারকাসুর শিব-দুর্গার বিয়েতেও বাধা দিয়েছিলেন। কিন্ত, তাতে লাভ হয়নি। সেই বিয়ে হয়েছিল। যথাসময়ে জন্ম হয়েছিল দেবসেনাপতি কার্তিকেয় বা কার্তিকের।