14th Oct 2024
প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি
শুক্লা দশমী তিথিটি কেন পরিচিত বিজয়া দশমী নামে? কেনই বা সবাইকে জানানো হয় শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা। জেনে নিন।
দশমীর আগে যে বিজয়া শব্দটির বসানো হয় সেই শব্দটির সম্পর্ক রয়েছে বিজয়ের সঙ্গে- পাপের উপর পুণ্যের বিজয়, অধর্মের উপর ধর্মের বিজয়, অসত্যের উপর সত্যের বিজয়, অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির বিজয়।
রামায়ণের কাহিনী অনুযায়ী,
ত্রেতা যুগে লংকার রাজা রাবণ শ্রী রামচন্দ্রর পত্নী সীতাকে অপহরণ করেছিলেন। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে রাম স্ত্রীকে উদ্ধার করতে লঙ্কা আক্রমণ করেন। শুক্লা দশমী তেই তিনি রাবণকে বধ করেন। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রামের জয়লাভ কে চিহ্নিত করে বিজয়া দশমী।
পুরাণ কী বলছে?
মহিষাসুর নামে এক অসুর ব্রহ্মার বর পেয়ে প্রবল ক্ষমতাশালী হয়ে স্বর্গ, মর্ত ও পাতাল দখল করে নেন। তিনি দেবরাজ ইন্দ্রকে স্বর্গ থেকে বিচ্যুত করেন। ব্রহ্মা তাঁকে বর দিয়েছিলেন যে কোনও পুরুষ তাঁকে হত্যা করতে পারবেন না। তবে কোনও নারী তাঁকে বধ করতে পারবেন না, এমন পর দেওয়া হয়নি। তখন সব দেবতার সম্মিলিত শক্তি থেকে আবির্ভূত হলেন দেবী দুর্গা। পুরাণে মহিষাসুর বধের কাহিনী অনুসারে টানা নয় দিন ও নয় রাত্রি যুদ্ধের পর শুক্লা দশমীতে দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। এই বিজয় লাভকেই বিজয়া দশমী বলা হয়।
মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী,
১২ বছর বনবাস ও এক বছর অজ্ঞাতবাসের শেষে পাণ্ডবরা আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমীতেই একটি শমীগাছের কোটরে তাঁদের লুকনো অস্ত্র পুনরুদ্ধার করেন এবং নিজেদের পরিচয় ঘোষণা করেন।
বৌদ্ধ ধর্মাণুযায়ী,
অনেকে মনে করে বিজয়া দশমীর আসল নাম অশোক বিজয়া দশমী। কলিঙ্গ যুদ্ধে জয়ের পর ১০ দিন ধরে মৌর্য সম্রাট অশোক বিজয় উত্সব পালন করেছিলেন, সেটিই অশোক বিজয়া দশমী। আর শুক্লা দশমীতেই তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই বৌদ্ধদের কাছেও এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।