21st Nov 2024

Highlights :

www.rojkarananya.com news

দেবসেনাপতি কার্তিক কী চিরকুমার? কেনই বা তার বাহন ময়ূর?

16th Nov 2024

প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিনিধি


বীরত্বের প্রতীক। তিনি দেবসেনাপতি, তিনি অতি সুপুরুষ। তিনি অপার শক্তিধর, কারণ তিনি মহেশ্বর ও পার্বতীর সন্তান। জানা যায়, ঋষিপত্নী কৃতিকা তাঁকে লালনপালন করেছিলেন বলে তাঁর নাম হয়েছিল কার্তিক। তাঁর বাহন ময়ূর। কেন? বিশ্বাস, ময়ূর খুব সামান্যই নিদ্রা যায়, সদা সতর্ক। তাই দেব সেনাপতির চরিত্রের সঙ্গে মানানসই।বাংলা ছাড়াও কার্তিক পূজিত হল দক্ষিণ ভারতেও। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের পুজো অধিক জনপ্রিয়। তামিল ও মালয়ালম ভাষায় কার্তিক মুরুগান বা ময়ূরী স্কন্দস্বামী। তামিল বিশ্বাস অনুযায়ী মুরুগান তামিলনাড়ুর রক্ষাকর্তা। কার্তিকের পুজো করা হয় সন্তান কামনায়। ঘরে ঘরে শিবপুত্রকে বন্দনা করা হয় যেমন, তেমন বাংলার কাটোয়া, বাঁশবেড়িয়া, চুঁচুড়ায় মহা ধূমধামে এই পুজো হয়। কার্তিক বারবণিতাদের দ্বারাও পূজিত হন। বিশ্বাস, রূপবান বাবুর কামনায় তাঁরা এই পুজো করেন।

বাংলায় লোকমুখে প্রচলিত আছে, কার্তিক নাকি আইবুড়ো। তিনি চিরকুমার। তবে এই তথ্যটি শুনে কী আপনাদের অবাক লাগেনা ? যে, এত সুপুরুষ ও শক্তিধর হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে কোনো পুরুষ অবিবাহিত হতে পারে? হ্যাঁ, এই সত্যিটা জানলে আপনি সত্যি সত্যিই অবাক হবেন।

উত্তর ভারতের প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে মনে করা হয় কার্তিক বিয়ে করেননি, তিনি চিরকুমার। যদিও দক্ষিণ ভারতে কার্তিক প্রচলিত মুরুগান নামে, সেখানে কিন্তু তাঁর দুই স্ত্রী। উত্তর ভারতে কেন চিরকুমার মনে করা হয় দেব সেনাপতি কার্তিককে, তা জানেন কি? এই নিয়ে প্রচলিত আছে বেশ কিছু লোককাহিনিও। প্রচলিত লোককথা থেকে পাওয়া যায়, একদিন দানবদের পরাজিত করে কার্তিক বাড়ি ফিরছিলেন৷ তখন এক রূপবতী দেবকন্যার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সেই দেবকন্যার নাম ঊষা। কার্তিক তাঁকে বিয়ে করতে চান৷ ঊষাও কার্তিকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। ঊষাকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশের কাছাকাছি পৌঁছান কার্তিক৷ কিন্তু আচমকাই তাঁর মনে হয়, বাড়িতে বউ নিয়ে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত৷ তাই ঊষাকে ধানখেতে দাঁড় করিয়ে রেখে তড়িঘড়ি দুর্গার কাছে যান কার্তিক৷ কথা বলে মায়ের থেকে অনুমতিও নেন।

কিন্তু সেই অনুমতি মা কতটা মন থেকে দিলেন এই নিয়ে খানিক ধন্দে ছিলেন কার্তিক৷ মনে উথালপাথাল হলেও, তড়িঘড়ি বর সেজে ধানখেতের দিকে রওনা দেন তিনি৷ কিন্তু আচমকাই মনে পড়ে মাকে প্রণাম করা হয়নি৷ আবারও বাড়ি ফিরে যান কার্তিক৷ গোটা বাড়িতে মাকে খুঁজে না পেয়ে অবাক হয়ে যান৷ খোঁজাখুঁজি করতে করতে রান্নাঘরে পৌঁছান কার্তিক৷ এরপরের দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান৷ দেখেন, দুর্গা সদ্য নিহত একটি মহিষ খাচ্ছেন৷ কেন এমন তাড়াহুড়ো করে মহিষ খাচ্ছেন মা, প্রশ্ন করেন কার্তিক৷ পুত্রবধূ যদি বাড়িতে এসে তাঁকে খেতে না দেয় এই আশঙ্কার দুর্গা খাওয়াদাওয়া শুরু করেছিলেন। মায়ের কথা শুনে দুঃখ পান কার্তিক৷ ঠিক করেন, এভাবে ঊষাকে বিয়ে করবেন না।এদিকে, তখনও ধানখেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঊষা৷ কার্তিক আর ফেরেন না৷ অবশেষে তিনি জানতে পারেন কার্তিকের প্রতিজ্ঞার কথা৷ প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত বদল করেন ঊষাও৷ লজ্জায় ধানখেতেই লুকিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ কার্তিক মাসে আমন ধানের শিষ বেরোয়৷ অনেকেই বলেন ওই ধানের শিষই নাকি ঊষা৷ যে কারণে কার্তিক পুজোয় ব্যবহার করা হয় নতুন ধানের শিষ।


Archive

Most Popular

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকুন, ঘরোয়া টোটকায় ..

21st Nov 2024

প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিনিধি

Read More