18th Dec 2024
স্বাস্থ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি
এখানকার ৮০ শতাংশ লোকেরই এইচ পাইলোরি ইনফেকশন থাকে তাই এঁদের কথায় কথায় খেতে অনীহা, পেটে ব্যথা, বদ হজমের সমস্যা লেগেই থাকে দীর্ঘ সময় এমন হতে হতে তা থেকে পেটে আলসার হয়ে যায়। তারপর যদি জল থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া পেটে যায় তবে তো সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেশি। জলের জন্য ইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন খুব বেশি হয়। যেখানে জলের উৎস নদী-নালা নয়, গভীর নলকূপ বাটিউবওয়েলের জল পান করা হয় সেখানে পেটের রোগ অনেক কম।
ট্যাপওয়াটারের জল খেলে, জল-ব্যবস্থা কতটা স্বাস্থ্যকর সেই ব্যাপারে সতর্ক হন। শুধু বর্ষাকালেই নয়, এখন সবসময়ই জল দূষিত হয়। কলকাতার বেশকিছু অঞ্চলে তো মাঝেমাঝেই জল ঘটিত ব্যাকটেরিয়া থেকেই ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। তাই জল ফুটিয়ে খেলে সংক্রমণ অনেকটাই রোধ করা যায়। জল বিশুদ্ধকরণে বাড়িতে ওয়াটার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন কিংবা ফটকিরি বা জিওলিন মিশিয়ে জল খেতে পারেন। বাইরে জল খেলে মিনারেল ওয়াটার খান।
পেটের গণ্ডগোল, বুক জ্বালা, আমাশা, গ্যাসের সমস্যার পাশাপাশি জল থেকে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা থাকে জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার। বিশেষ করে হেপাটাইটিস এ এবং ই, এই ধরনের জন্ডিস জলবাহিত অসুখ। তাই জলের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। জলের ব্যাপারে সতর্ক না হলে বাঙালির পেটের সমস্যা কমবে না। যাঁদের হজমের সমস্যা তাঁরা খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে জল খাবেন না। এতে শরীরে উপস্থিত হজমে উপকারী উৎসেচক খাবারে মিশতে পারে না, জলে দ্রবীভূত হয়ে যায়। তাই খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পর জল খেলে পেটের জন্য ভাল।
দূষিত জল!
সেই কবের থেকে শুনে আসছি। বিশেষ করে মা-মাসিদের মুখে। বাবা, জল হতে সাবধান। কলকাতার মধ্যে যাঁরা থাকেন, তাঁদের অবস্থা তো বেশ খারাপ। বাইরে তবু এক রকম। বড়রা বলে এসেছেন, কলকাতার বাইরে গেলে না কি পেট খুব ভাল থাকে। খিদে ভাল হয়, শরীর একদম ঝরঝরে। এই কারণেই মধুপুর, গিরিডি কিংবা দেরাদুনে সবসময়ই বাঙালির ভিড় বেশি। এখানে পেটের অসুখ নিত্য ব্যাপার। ওখানকার আবহাওয়ায় না কি খিদে ভাল হয়!
তা কি সত্যি?
আসলে তা নয়। আসল ব্যাপারটা হল, ওখানকার জল খুব ভাল। এখানকার জল মারাত্মকভাবে দূষিত। তাই পেটের সমস্যাও এত বেশি।