1st Oct 2024
বাড়িঘর
নিজস্ব প্রতিনিধি
কলকাতার সেরা পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম শিবমন্দির পুজো কমিটি। এবছর তাদের থিমের নাম ব্রাত্য - আক্ষেপের আড়ালে। ৮৮ তম বর্ষে এই রকম চিন্তা ভাবনাকেই বাস্তবায়িত করেছে এই পুজো মণ্ডপ।
দেবদূত ভনে মাগো কৃপা দৃষ্টি দাও।
ব্রাত্য জেরে তব তারে বুকে টেনে নাও।
শিল্পী পূর্ণেন্দু দে র ভাবনা অনুযায়ী, নামী-দামী স্থাপত্য থেকে শুরু করে ছোট বাড়ি, মন্দির, বিনোদন পার্ক, প্রেক্ষাগৃহ - সবই আমরা গড়ে তুলি। কিন্তু এই নির্মাণের আসল কারিগড়েরা অধিকাংশই প্রান্তিক গ্রামের মানুষ। শহরে আমাদের জন্য বড় বড় ঘর বানালেও, তাদের জীবন কাটে গ্রামের একচিলতে চালাবাড়িতে।
দুর্গাপূজার সময়ও তাদের ছাড়া আমরা অসহায়। ঢাকি, শোলাশিল্পী, অস্ত্র নির্মাতা, পুজোর ফুল বিক্রেতা, প্রতিমা গড়ার কারিগড়, এদের হাতেই গড়ে ওঠে মায়ের পুজোর মণ্ডপ। এরা সমাজের তথাকথিত নিম্নবর্গের মানুষ এবং বংশ পরম্পরায় এসব কাজ করে আসছেন। এমনকি শাস্ত্রমতে, প্রতিমা গড়ার সময় মাটি গ্রহণ করতে হয় পতিতালয় থেকে।
কিন্তু আমরা কি তাদের যোগ্য সম্মান দিয়ে থাকি? পুজো সাজিয়ে দিয়ে অর্থ উপার্জন করে তারা পুজোর আগেই বাড়ি ফিরে যায়। আমাদের সাথে থেকে পুজো উপভোগ করার সুযোগ তাদের হয়ে ওঠে না। আনন্দ উৎসবের রূপকার-রা আজও অবহেলিত, ব্রাত্য।
সৃজনে: পূর্ণেন্দু দে
প্রতিমা: অরূপ কর
আলো: প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী
আলো সহযোগী: সুশান্ত হালদার
আবহ: জয় সরকার
গ্রন্থনা: দেবদূত ঘোষ ঠাকুর
কীভাবে যাবেন: মুদিয়ালি থেকে ৮ মিনিট হাঁটা দূরত্বে ২৫, লেক টেম্পল রোডে এই পুজো মন্ডপ। কাছাকাছি মেট্রো স্টেশন রবীন্দ্র সরোবর।