1st Oct 2024
বাড়িঘর
নিজস্ব প্রতিনিধি
রাজস্থানের এক গায়ের পুজোর আদলকেই থিম ও মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ভবানীপুর অবসর। তাদের এবারের থিমের নাম মহল্লা। ভাবনা ও সৃজনে রয়েছেন শিল্পী প্রশান্ত পাল। স্থান, কাল, পাত্রের উর্ধ্বে গিয়ে মা সর্বভূতে বিরাজমান। ভক্তি করে মা-কে ডাকলে, মা অবশ্যই ভক্তদের দর্শন দেন। মা সার্বজনীন - তাই দেশ-দশের গণ্ডি পেরিয়ে, মা সর্বত্র পূজিতা।
ভারতের পশ্চিম প্রান্তের এমনই এক কল্পিত জনপদে, এমনই এক অচেনা-অজানা পল্লীতে স্থানীয় বাসিন্দারা মায়ের পুজো-অর্চনা তে লিপ্ত হয়েছে। তারা তাদের অল্প সামর্থ্য দিয়ে, সবরকম চেষ্টা করেছে মায়ের মণ্ডপ কে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে। তাদের প্রচেষ্টায় তারা কোনো খামতি রাখেনি, সব দিক থেকে সর্বোচ্চ প্রয়াস করেছে। কিন্তু তাদের সর্বাধিক প্রচেষ্টার পরেও মণ্ডপ কে জাঁক-জমক, জৌলুস দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেনি - আড়ম্বরের অভাব সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্যণীয়।
কিন্তু তাদের দৃঢ়-বিশ্বাস এই অন্তরের উদ্যোগ, দেবী মা-কে প্রসন্ন করেছে। তাই সামান্য কাঠের বাটাম দিয়ে সজ্জিত এই মণ্ডপের নির্মাণ, অসামান্য সব রঙিন চিত্রকলা দিয়ে সুসজ্জিত মন্ডপের অঙ্গসজ্জা। জগৎজননী মায়ের কৃপায়, খুব সাধারণ থেকে নিমেষেই অসাধারণ রূপে সেজে উঠেছে সমগ্র মহল্লা। দেবীর আশীর্বাদে, তাদের সামান্য এক মহল্লা হয়ে উঠেছে মাতৃ আরাধনার মায়া নগরী। এক অতি সাধারণ মহল্লা-র, মাতৃ আশিসে অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনীই ভবানীপুর অবসর পুজো কমিটির এবারের নিবেদন। শিল্পী শ্রী প্রশান্ত পালের সমগ্র ভাবনায় ও সৃজনে দেবীর এই মায়া নগরী মহল্লা তে ফুটে উঠবে।