2nd Oct 2024
রান্নাঘর
নিজস্ব প্রতিনিধি
বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুরে আছে মুন্সী বাড়ি। এই বাড়ির দুর্গাপুজোই সেন বাড়ির দুর্গাপুজো নামে পরিচিত। আনুমানিক ৩৫০ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় হয়ে আসছে এই পুজো। মহাষ্টমীর দিন হলুদ মুড়ি, ৮ রকম কলাই ভাজা এবং আদা কুচি দিয়ে মায়ের ভোগ করা হয়। মহাষ্টমীর দিনই করা হয় কুমারী পুজো।
ঈশান মুন্সী ওরফে কুচিল চন্দ্র সেন রাজনগরের রাজার মুন্সেফ ছিলেন এবং তিনি এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। স্বপ্নাদেশে এই পুজো শুরুহয়েছিল। প্রথম দিকে আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য পুজোর ক্ষেত্রে রাজি হননি। কিন্তু, সাধ্যমত পুজোর জন্য ফের দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। তারপরই ভেদিয়া-গুসকরায় সেন বাড়ির দুর্গাপুজো প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও পরে এই দুর্গাপুজো হেতমপুরের সেন বাড়িতেই হয়ে আসছে। প্রথমদিকে এই দুর্গা প্রতিমা পটের দুর্গা ছিল। পরবর্তীকালে নিম কাঠ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়। ১০টি সেন পরিবারের সদস্যরা মিলে এই পুজো করে থাকেন।
সেন পরিবারের সদস্য লক্ষ্মী সেন বলেন, এই দুর্গাপুজো সেন বাড়ির পুজো নামে পরিচিত। কিন্তু, এটা আসলে মুন্সী বাড়ির পুজো। মুন্সী হচ্ছে খেতাব পাওয়া। রাজনগরের নবাব এই খেতাব দিয়েছিলেন। তাই এটা মুন্সী বাড়ির পুজো নামেই খ্যাত। পুরোনো রীতি মেনে আচার অনুষ্ঠান করে পুজো সম্পন্ন হয়। যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরা সবাই পুজোয় আসেন এবং মিলিত হয়ে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। এই পুজোয় যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় সেটা সেন পরিবারের সদস্যরা মিলেই করেন।